ঢাকা, সোমবার   ০১ জুলাই ২০২৪

উলিপুরে ডায়রিয়ায় একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:০৩, ২৯ মে ২০১৮

কুড়িগ্রামে উলিপুরে একই পরিবারের ছয়জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার পর তিনজন মারা গেছে। এ নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ঢাকা থেকে ৪ সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল লক্ষণ দেখে কলেরা বলে ধারণা করছেন। মঙ্গলবার আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন ও সিভিল সার্জন ডা. এসএম আমিনুল ইসলাম।

এ সময় উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বোরহান উল কবির সিদ্দিকী ও বেগমগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন। ঘটনাটি ঘটেছে দুধকমুর ও ধরলা নদী দ্বারা বিচ্ছিন্ন উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের প্রত্যন্ত মিয়াজী পাড়া গ্রামে।

বেগমগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন জানান, একই পরিবারের সাত সদস্যের মধ্যে ছয়জনই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়। প্রথমে মজিয়া বেগম (৪৪), স্বামী মালেক (৪৮) ও পূত্র সুমন (৩) আক্রান্ত হলে ১৪ মে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। পরদিন শ্বশুর নছিমুদ্দিন (৮০) ও মেয়ে নাসরিন (৭) আক্রান্ত হয়। এ সময় বাড়িতে সেবা করার মতো কেউ না থাকায় বমি ও পাতলা পায়খানায় দু`জনে কাহিল হয়ে পড়ে। মধ্যরাতেই দুজন অসুস্থ অবস্থায় মারা যায়।

খবর পেয়ে মজিয়া বেগম স্বামী-সন্তানসহ হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ছুটে আসে। পরদিন ১৬ মে ২২ দিন বয়সী শিশুকন্যা রোমানা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ১৮ মে মারা যায়। ঘটনা সামাল দিতে ঢাকা থেকে ৪ সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থলে এসে সরেজমিন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে স্যাম্পল সংগ্রহ করে চলে যান। এদিকে গ্রামের বয়স্ক লোকজন তুকতাক করে দূষিত বায়ু ও ভূত ছাড়াতে বাড়ির টিনের চালে ভূত তাড়ানি স্থাপন করেছে।

ডা. বোরহান উল কবির সিদ্দিকী জানান, ঘটনার পর পরই বিশুদ্ধ পানির জন্য নলকূপ ও পায়খানা স্থাপন করা হয়। স্বাস্থ্যকর্মীরা স্যালাইনসহ দেখভাল করছে। ইতোমধ্যে ২৫ জনের মতো আক্রান্ত হলেও বেশিরভাগ রোগী সেড়ে উঠেছে। পরিস্থিতি উন্নতির দিকে।

এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডা. এসএম আমিনুল ইসলাম জানান, ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আছে। ইতোমধ্যে এলাকাবাসীকে পানি ফুটিয়ে খেতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পর্যাপ্ত স্যালাইন ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট সরবরাহ করা হয়েছে। লক্ষণ দেখে বিশেষজ্ঞ দল কলেরা হতে পারে বলে সন্দেহ করছেন। ঢাকায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর কি হয়েছে জানা যাবে?

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে এসে জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন জানান, ইতোমধ্যে ওই এলাকায় ছয়টি নলকুপ ও ১৫টি স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন স্থাপন করা হয়েছে। মৃত. নছিমুদ্দিনের স্ত্রীকে বয়স্কভাতা এবং ওই পরিবারকে জিআর চাল দিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted







© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি