হাতিয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে চারটি ইউনিয়ন প্লাবিত
প্রকাশিত : ১৭:৫৩, ২০ মে ২০২০ | আপডেট: ১৮:৩৭, ২০ মে ২০২০
নিঝুমদ্বীপের একটা আশ্রয়কেন্দ্র প্লাবিত হওয়ার দৃশ্য। -ছবি একুশে টিভি।
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে নোয়াখালীর হাতিয়ায় নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বেড়িবাঁধ ভেঙে বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। আজ বুধবার দুপুর ১টা থেকে উপজেলার চারটি ইউনিয়নের কয়েকটি বেড়িবাঁধ ভেঙে গিয়ে নদীর পানি ঢুকে পড়ে।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে সকাল থেকে উপজেলায় হালকা বাতাস শুরু হয়। দুপুরের দিকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিও হয়েছে। এক পর্যায়ে দুপুর ১টা থেকে নদীতে পানি বাড়তে থাকে। এতে করে সূখচর, নলচিরা, চরঈশ্বর ও নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। এতে নদীর পানি ঢুকে পড়ে অন্তত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার কয়েকটি স্লাইক্লোন শেল্টার সেন্টারের নিচ তলা পর্যন্ত পানিতে ডুবে গেছে। প্লাবিত এলাকার বেশ কিছু কাঁচা ঘর পানিতে ভেসে গেছে বলে জানা যায়। তবে কোনো প্রকার হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
চরঈশ্বর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রাশেদ উদ্দিন জানান, বেড়িবাঁধের বাইরে এবং ভিতরের প্রায় ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি নদীর পানিতে ভেসে গেছে। তবে লোকজনকে আগেই সরিয়ে নেওয়ার কারণে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
জানতে চাইলে হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রেজাউল করিম জানান, কয়েকটি বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় নদীর পানি ঢুকে পড়েছে, কয়েকটি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুপুর তিনটার পর থেকে পুনরায় পানি নামতে শুরু করেছে। তবে রাতের দিকে পুনরায় জোয়ারের পানি ঢুকতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি। নদী তীরবর্তী বেড়ি সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলেও জানান ইউএনও।
এনএস/
আরও পড়ুন