ঝালকাঠির সিডর দূর্গত কাঠালিয়া প্লাবিত
প্রকাশিত : ১৮:২৪, ২০ মে ২০২০ | আপডেট: ১৮:৫৫, ২০ মে ২০২০
কাঁঠালিয়া উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত- ছবি একুশে টিভি।
ঝালকাঠির সর্বদক্ষিণে সিডর দূর্গত কাঠালিয়া উপজেলায় জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কমপক্ষে ৪ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। বুধবার (২০ মে) দুপুর ১টা পর্যন্ত এ পানি বৃদ্ধির প্রভাবে উপজেলা নিম্নাঞ্চলের বাড়ি-ঘর প্লাবিত হয়েছে।
গত ক’দিন ধরে বিষখালী নদী ভাঙ্গনের তীব্রতায় হুমকির মুখে ছিলো বিষখালী তীরবর্তী বিভিন্ন বসত-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা। তার উপর ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে নদনদীর পানি বৃদ্ধিতে পুরো উপজেলাবাসী আতংকিত হয়ে পড়েছে।
ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে সকাল থেমে থেমে হালকা ও ভারি বৃষ্টি চলছে। বিষখালী নদীর জোয়ারের পানি স্বাবাভিকের চেয়ে ৩-৪ ফুট বৃদ্ধি পাওয়ায় প্লাবিত হয়েছে গ্রামীণ জনপদের অসংখ্য বাড়ি-ঘর ও ফসলী জমি। বিষখালী নদীর তীরবর্তী বেড়িবাঁধ না থাকায়, নদীর তীরবর্তী আউরা, চিংড়াখালী, জয়খালী, কাঠালিয়া, আমুয়া, রঘুয়ারচর, দর রঘুয়ারচর, বাদুরতলাসহ বিভিন্ন গ্রামে পানি ঢুকে কাঁচা ঘর-বাড়ি ও গ্রামীণ মেঠো রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ভেসে গেছে বহু জলাশয়ের মাছ ও পানিতে ডুবে গেছে ফসলের ক্ষেত।
উপজেলা প্রসাশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইতমধ্যে ১৪টি সাইক্লোন সেল্টার সেন্টার ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার ৩৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বুধবার সকালে মহাবিপদ সংকেত ঘোষণার পর আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে লোকজন আসা শুরু করেছে। শুকনো খাবার মজুদ ও স্বাস্থ্য সেবার জন্য ৭টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। উপজেলা কন্টোল রুম ও ইউনিয়ন পর্যায় সতার্কতামূলক মাইকিং অব্যাহত রয়েছে।
এনএস/
আরও পড়ুন