মোংলায় ট্যুরিস্ট লঞ্চ ডুবি, আজই শুরু পণ্য ওঠা-নামা
প্রকাশিত : ১১:৪১, ২১ মে ২০২০
ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’র আঘাতে মোংলার পশুর নদীতে একটি ট্যুরিস্ট লঞ্চ ডুবে গেছে। এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠাসহ কাঁচা ঘরবাড়ি ও গাছপালার ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। প্লাবিত হয়েছে চিংড়ি ঘেরও। তবে এখন পর্যন্ত কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে মোংলা বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকতে দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। সংকেত কমলেও আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এ এলাকার উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া ও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি বয়ে যাচ্ছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাষ্টার কমান্ডার ফখর উদ্দিন এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘যেহেতু সিগনাল নামিয়ে আনা হয়েছে। তাই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ বন্দরে অবস্থানরত বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজে পণ্য বোঝাই-খালাসের কাজ শুরু করা হবে।’
এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাহাত মান্নান বলেন, ‘সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেয়া লোকজনের মাঝে বৃহস্পতিবার (২১ মে) সকালেও খাবার বিতরণ করা হয়েছে। তার আগে বুধবার দিনে এবং রাতে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে নেয়া হয় ৪৮ হাজার মানুষকে। ঝড় কিছুটা কমে যাওয়ায় তারা এখন নিজ বাড়ি-ঘরে ফিরছেন। তবে ঝড়ে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের তালিকা পাওয়ার পর জানানো হবে।’
বন্দরের পশুর চ্যানেলের তীরবর্তী কানাইনগর, কলাতলা, সুন্দরতলাসহ বিভিন্ন জায়গার দুর্বল বেরিবাঁধের কয়েকটি জায়গা ধসে গেছে। তবে আবহাওয়া অফিসের দেয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী কয়েক ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের কথা বলা হলেও মোংলা সমুদ্র বন্দরের পশুর চ্যানেলসহ সুন্দরবনের নদ-নদীর পানির উচ্চতা অনেকটা স্বাভাবিকই ছিল।
ফলে মোংলাসহ আশপাশ এলাকায় জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি। যদিও বেরিবাঁধ ভেঙ্গে কিংবা উপচে জোয়ারের যে পানি বাঁধের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছিল তা আবার ভাটার সময়ে নেমে গেছে।
পৌর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকার মোড়ে মোড়ে দুর্গতদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।
এদিকে ‘আম্পান’র তাণ্ডবে পূর্ব সুন্দরবনের ঢাংমারী ষ্টেশন, লাউডোব, দুবলা ও মরাপশুর ক্যাম্পের জেটি, ঘরবাড়িসহ অন্যান্য স্থাপনা এবং বনের গাছপালার বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন।
তবে এতে কোন নৌকা ডুবি, জেলে নিঁখোজ কিংবা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলেও জানান তিনি।
এআই//
আরও পড়ুন