আম্পানে রাজশাহীতে আম ঝরেছে ১৫ শতাংশ
প্রকাশিত : ১৪:০১, ২১ মে ২০২০
ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’র মূল কেন্দ্র রাজশাহীতে আঘাত হানেনি। তবে এর প্রভাবে ঝড় হয়েছে রাজশাহীতে। বুধবার মধ্যরাত থেকে আজ ভোর পর্যন্ত ঝড়ে জেলার অন্তত ১৫ শতাংশ আম গাছ থেকে ঝরে গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর গণমাধ্যমে এমন তথ্য দিয়েছে। তবে রাজশাহী জেলা প্রশাসক হামিদুল হক সাংবাদিকদের বলেছেন, আম ঝরেছে ২০ শতাংশ।
এদিকে গাছের আম ঝরে পড়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে আম চাষি ও ব্যবসায়ীদের। তারা বলছেন, এবার এমনিতেই আমের ফলন কম। করোনা পরিস্থিতিতে দাম পাওয়া নিয়েই ছিলেন অনিশ্চয়তায়। তার ওপর ঝড়ে আম ঝরে পড়ায় ফলনও কমে গেল। এতে তারা লোকসানের মুখে পড়বেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামসুল হক বলেন, ‘রাতেই বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়ে আমরাই জেলা প্রশাসককে জানিয়েছিলাম যে ২০ শতাংশ আম ঝরে পড়েছে। তবে সকালে আমরা বিভিন্ন বাগান পরিদর্শন করে দেখছি ক্ষতির পরিমাণ আরেকটু কম। শহরে ১০ শতাংশ এবং চারঘাট উপজেলায় ১৫ শতাংশ আম ঝরে পড়েছে। তবে বাঘা উপজেলায় আম বেশি। সেখানে ঝরেছে প্রায় ২০ শতাংশ। সব মিলে আম ঝরেছে ১৫ শতাংশ।’
শামসুল হক বলেন, ‘আম ঝরে গেলে ফলন কমে। এরপর আবার চাষিরা যদি আমের ভালো দাম না পান তাহলে হয়তো এবার তারা ক্ষতির মুখে পড়বেন। তাই আমের যেন সঠিক মূল্য পাওয়া যায় তার জন্য যা যা করা দরকার আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’
তিনি জানান, ঝড়ে রাজশাহীর অন্য কোনো ফসলের তেমন ক্ষতি হয়নি। মাঠে পাকা ধান আছে। সেগুলো মাটিতে শুয়ে গেছে। তবে ধান পেকে যাওয়ায় চাষিরা তা এখন কেটে নেবেন। তাই ধানের ক্ষতি হবে না। তবে কিছু ধান ঝরে যেতে পারে। মাঠের সবজির কোনো ক্ষতি হবে না।’
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন জানান, ‘আম্পান’র মূল কেন্দ্র রাজশাহীতে আঘাত করেনি। তবে বৃহস্পতিবার রাত ২টা ৫৫ মিনিট থেকে ২টা ৫৮ মিনিট পর্যন্ত বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিলো ঘণ্টায় ৫৯ কিলোমিটার। এটি অবশ্য ঘূর্ণিঝড়ের মাত্রায় পড়ে না। বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটারের ওপরে থাকলে তাকে ঘূর্ণিঝড় বলে। রাজশাহীতে ঘূর্ণিঝড়ের একধাপ নিচের মাত্রার ঝড় হয়েছে। সেইসঙ্গে বৃষ্টিপাতও হয়েছে। বুধবার ভোর ৬টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৮১ মিলিমিটার।’
এআই//
আরও পড়ুন