ঢাকা, রবিবার   ০৩ নভেম্বর ২০২৪

আম্পান: মোংলায় দেড় হাজার চিংড়ি ঘের প্লাবিত  

মোংলা প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ২১:২৮, ২১ মে ২০২০ | আপডেট: ২১:৩১, ২১ মে ২০২০

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে মোংলায় দেড় হাজার চিংড়ি ঘের প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া ১২৫টি কাঁচা ঘরবাড়ি পুরোপুরি বিধ্বস্ত এবং ৩২৫টি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বিপুল সংখ্যক গাছপালা উপড়ে গেছে। তবে ঝড়ের আঘাতে এখানে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাহাত মান্নান বলেন, মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের তীরবর্তী কানাইনগর, কলাতলা, সুন্দরতলাসহ বিভিন্ন জায়গার দুর্বল ভেড়িবাঁধের কয়েকটি জায়গা ধ্বসে গেছে। তবে আবহাওয়া অফিসের দেয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী কয়েক ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের কথা বলা হলেও মোংলা সমুদ্র বন্দরের পশুর চ্যানেলসহ সুন্দরবনের নদ-নদীর পানির উচ্চতা অনেকটা স্বাভাবিকই ছিল। ফলে মোংলাসহ আশপাশ এলাকায় জলোচ্ছাসে প্লাবিত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি। যদিও ভেঁড়ি বাঁধ ভেঙ্গে কিংবা উপচে জোয়ারের যে পানি বাঁধের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছিল তা আবার ভাটার সময়ে নেমে গেছে।

পৌর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকার মোড়ে মোড়ে দুর্গতদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করছেন পৌর মেয়র আলহাজ্ব মো. জুলফিকার আালী।

বৃহস্পতিবার (২১ মে) দুপুরে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ প্রত্যেক পরিবারে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: রাহাত মান্নান, পৌর মেয়র জুলফিকার আলী, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: নাহিদুজ্জামান। 
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাহাত মান্নান বলেন, আম্পানে কম বেশি ক্ষতিগ্রস্থ এমন ২ হাজার চার'শ পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া ৩ হাজার শিশুর জন্য শিশু খাদ্য দেয়া হচ্ছে। 

এদিকে আম্পানের তান্ডবে পূর্ব সুন্দরবনের ঢাংমারী ষ্টেশন, লাউডোব, দুবলা ও মরাপশুর ক্যাম্পের জেটি, ঘরবাড়িসহ অন্যান্য স্থাপনা এবং বনের গাছপালার বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন। তবে এতে কোন জেলে নৌকা ডুবি, জেলে নিঁখোজ কিংবা হতাহতের খবর নেই বলেও জানান তিনি। 
কেআই/ 


 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি