ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

পাওনা টাকা চাওয়ায় হামলা-মামলা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৬:০১, ২৮ মে ২০২০

আগুনে পুড়ে দোকান ছাই- ছবি একুশে টেলিভিশন।

আগুনে পুড়ে দোকান ছাই- ছবি একুশে টেলিভিশন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে পাওনা টাকাকে কেন্দ্র করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু তা-ই নয়, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী ও জেলে পাঠানোর অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। এখন হামলা ও পুলিশী ভয়ে চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন পরিবারগুলো। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত আট মাস আগে উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সেঁজামুড়ার ইউপি সদস্য বাছিরের ভাতিজা রাশেদ একই এলাকার মিন্টুর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ধার নেয়। প্রায় তিন মাস আগে ধার নেওয়া টাকা রাশেদের কাছে ফেরত চান মিন্টু। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘোটে। এ সময় মিন্টুর ভাই মুদি দোকান ব্যবসায়ী নুরু মিয়ার (৩৫) হস্তক্ষেপে ঝগড়া থামে। কিছুক্ষণ পরেই স্থানীয় ইউপি সদস্য বাছির ও তার ভাতিজা রাশেদের নেতৃত্বে আরও লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মিন্টুর বাড়িতে হামলা চালায়। বাড়িঘরে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়। পরে স্থানীয়ভাবে শালিস করে আপোষ-মিমাংসা করা হয়। মিমাংসার পরেও মিন্টুর বাড়ির লোকজনকে রাস্তাঘাটে উত্ত্যক্ত করে চলছিল ইউপি সদস্য বাছির ও তার লোকজন। 

এরই জের ধরে ঈদের দুইদিন আগে ইউপি সদস্য বাছির দেশী অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মিন্টুর বাড়িতে হামলা করতে জমায়েত হয়। খবর পেয়ে বিজয়নগর থানা পুলিশ বাছির মেম্বারের বাড়ি থেকে বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে। এর একদিন পর পুলিশ মিন্টুর ভাই নুরুকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। নুরু মিয়া জেলে থাকা অবস্থায় ঈদুল ফিতরের মধ্যরাতে তার দোকানে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটে। প্রায় ১ ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এর মধ্যে দোকানের সমস্ত মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। 

ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের দাবি, ঈদের আগে সিলিন্ডার গ্যাস ও বিভিন্ন জিনিসপত্র তোলা হয়েছিল বিক্রির জন্য। সিলিন্ডারগুলো লুট করে নিয়ে পরে দোকানে আগুন দেয়া হয়। এতে প্রায় ৪ লক্ষ টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। 

ভুক্তভোগী মিন্টু ও নুরুর মা দাবি করে বলেন, দোকানে অগ্নিসংযোগ করেছে বাছির মেম্বারের বাড়ির লোকজন। আমরা আতংকে আছি। ঘর থেকে বের হলেই তাদের হামলার শংকায় থাকি। স্থানীয় চম্পকনগর পুলিশ ফাঁড়ির আহম্মদ নামের এক দারোগা টাকা খেয়ে আমার ছেলেকে ধরে নিয়ে মামলায় ঢুকিয়ে দিয়েছে। সেই দারোগাকে কারণ জিজ্ঞেস করলে, তিনি আমাকে মারতে তেড়ে আসেন। 

বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আতিকুর রহমান জানান, দেশীয় অস্ত্রসহ পুলিশ ৪ জনকে আটক করেছে। তদন্ত করেই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি