তেঁতুলিয়ায় জলদানবের দাবড়ানি শুরু, ঝুঁকির শঙ্কা
প্রকাশিত : ২০:০৭, ৩১ মে ২০২০ | আপডেট: ২০:০৮, ৩১ মে ২০২০
কালাইয়া থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছুটছে যাত্রীবোঝাই ঈগল-৪ নামে ডাবল ডেকার লঞ্চ, ছবি- একুশে টেলিভিশন।
দীর্ঘ ৬৭ দিন পর আজ রোববার তেঁতুলিয়ায় আবারও ঢেউ তুলেছে জলদানব দূর পাল্লার ডাবল ডেকার লঞ্চ। আবারও ভেপু ও হাইড্রলিক হর্ণের শব্দে অতিষ্ঠ নদী পাড়ের মানুষ ও প্রাণী। সঙ্গে সামাজিক দূরত্ব না মানায় বাড়ছে ঝুঁকির শঙ্কা।
জানা গেছে, লকডাউন সিথিল করায় পটুয়াখালীর বাউফলের বাণিজ্য বন্দর কালাইয়া পন্টুন থেকে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে মেসার্স শেখ ব্রাদার্স ওয়াটার ওয়েজ কোম্পানির ঈগল-৪ নামে একটি ডাবল ডেকার লঞ্চ। আগে একই পথে প্রতিদিন কালাইয়া, রাঙাবালী ও পায়রা বন্দর থেকে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশে তিন তিনটি ডাবল ডেকার লঞ্চ ছেড়ে গেলেও এই প্রান্তে আর কোন ডবল ডেকার লঞ্চ না থাকায় এবং দীর্ঘদিন বন্ধের পর চলাচল শুরু করায় আজ ছিল যাত্রী সাধারণের উপচে পড়া ভিড়।
হরুন-অর-রশিদ নামে বন্দরের এক ব্যবসায়ী জানান, যেন ঈদের ছুটির মতোই কর্মস্থলমুখো মানুষের ছিল উপচে পড়া ভিড়। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা তো দূরের কথা, ইঞ্চি জায়গাও খালি ছিল না পা রাখার মতো। ডেকে বিছানার চাঁদর, মাদুর, কাঁথা বিছিয়ে ও রশি টানিয়ে সিট দখল করে কোনভাবে কেবল কর্মস্থলে পৌঁছার ধান্দা যাত্রীদের।
তবে প্রশাসনের কিছুটা নজরদারির কারণে নির্ধারিত সময়ের (বিকাল ৪টা) আগে বিকাল সাড়ে তিনটার দিকেই ঘাট ছাড়ে এবং পরের স্টেশন নিমদী ও নুরইপুর বন্দরে প্রবেশ না করে লঞ্চটি সরাসরি ঢাকার পথে চালিয়ে যেতে দেখেন নদী পাড়ের লোকজন। এ কারণে ওই দুই স্টেশনে অপেক্ষমান যাত্রীদের হতাশ হয়ে ফিরতেও দেখা গেছে। আবার দীর্ঘদিন পর ডাবল ডেকার লঞ্চ চলাচল শুরু করায় এক নজর দেখতে উৎসুক লোকজনকে নদী পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকতেও দেখা গেছে।
কালাইয়া বন্দরের একজন ব্যবসায়ী জানান, লঞ্চঘাট থেকে পাশের ভোলা জেলার লালমোহনের নাজিরপুরের উদ্দেশে আজই প্রিন্স-অব-পদ্মা, এমএল হালিমসহ ৪টি একতলা লঞ্চ ও ৭টি স্পিড বোর্ডও যাত্রীসেবা চালু করেছে আগের মতোই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই ব্যবসায়ী বলেন, ‘জলের যন্ত্রদানব খ্যাত এসব লঞ্চগুলো চলাচল বন্ধ থাকায় তেঁতুলিয়ার জলজ পরিবেশ হয়ে উঠছিল প্রাণ-বান্ধব। নদীর স্বচ্ছ জলে সেখানে ভাসতে দেখা যায় শুশুক। এবার নদী দাবড়ানি লঞ্চ, মালবাহি জাহাজ, ট্যাঙ্কারসহ জলযান চলাচলে একদিকে জলজ পরিবেশ দূষিত করবে, অপরদিকে এসব জলযান কোন মতেই সঠিক সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল সম্ভব হবে না। এতে বাড়বে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি।
এনএস/
আরও পড়ুন