চুয়াডাঙ্গায় ৬৭ দিন পর সড়কে গণপরিবহন
প্রকাশিত : ১১:৩০, ২ জুন ২০২০
করোনার সংক্রমণের কারণে টানা ৬৭ দিন বন্ধ থাকার পর চুয়াডাঙ্গার সড়কে ফিরেছে গণপরিবহন। সোমবার সকাল থেকে বিভিন্ন রুটে বাস ও মিনিবাস চলাচল শুরু হয়েছে। তবে, তুলনামূলকভাবে যাত্রীদের চাপ কম। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই যাত্রীরা চলাচল করছে।
এর আগে দীর্ঘ দুইমাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর রোববার জেলা প্রশাসনের করণীয় সম্পর্কিত সভা থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
চুয়াডাঙ্গা শহর ঘুরে দেখা গেছে, অফিস চালু ও যানবাহন চলার মধ্যদিয়ে স্বাভাবিক চেহারায় ফিরতে শুরু করেছে জেলা। সড়কে ইজিবাইক, থ্রি-হুইলার ভ্যান-রিকশার চাপে যানজট দেখা গেছে। কারণে-অকারণে রাস্তায় চলাচল বেড়েছে সাধারণ মানুষের।
করোনার প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় গত ২৬ মার্চ থেকে চলা সাধারণ ছুটির মেয়াদ না বাড়িয়ে ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার পাশাপাশি গণপরিবহন চালুর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
এ জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ১৩ দফা নির্দেশনাও দেয়া হয়। আগামী ১৫ দিন গণপরিবহন চলাচল ও করোনায় সংক্রমণের মাত্রা বিবেচনায় নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া বলে জানা গেছে।
চুয়াডাঙ্গা বিভিন্ন বাসের কাউন্টার মাষ্টার জানান, সরকার কর্তৃক যেসব নির্দেশনা আমাদের দেওয়া হয়েছে সেসব নির্দেশনা মেনেই আমরা বাস পরিচালনা করছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল থেকে নিজ গন্তব্যে কয়েকটি বাস ছেড়ে গেছে। আমরা চেষ্টা করছি আমাদের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি সর্বাত্মক মানার। সে ক্ষেত্রে যাত্রীদেরও স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
বাড়তি ভাড়ার বিষয়ে জানান, ‘যেহেতু আমাদের অর্ধেক যাত্রী বহন করতে হচ্ছে। সেক্ষেত্রে আমরা ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। তাই সরকার সমন্বয় করে যে ৬০ ভাগ ভাড়া বর্ধিত করেছে সে অনুযায়ী আমরা ভাড়া নিচ্ছি।’
সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতি সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দীন মুক্তা জানান, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক পরিবহনগুলো চলাচল করছে।’
জেলা বাস-ট্রাক সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি এম, জেনারেল ইসলাম জানান, ‘করোনার এই সময়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) বাসের ভাড়া সমন্বয় করে ৬০ ভাগ বৃদ্ধিতে পরিবহণ চালু করা হয়েছে।’
এআই//
আরও পড়ুন