লিবিয়ায় বাংলাদেশি অপহরণ চক্রের ২ সদস্য গ্রেফতার
প্রকাশিত : ১৬:৪৭, ৩ জুন ২০২০
লিবিয়ায় বাংলাদেশি অপহরণ চক্রের দুই সদস্যকে অভিযান চালিকে গ্রেফতার করেছে সিরাজগঞ্জের র্যাব-১২ সদস্যরা। এরা হলো বরগুনার পাথরঘাটার খাসতবক গ্রামের সজল হোসেন (২৩) এবং নাচনাপাড়া গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে ইদ্রিস আলী (৩৬)। তাদের নিজ নিজ এলাকা থেকে আটক করা হয়।
র্যাব-১২ এর পরিচালক খায়রুল ইসলাম জানান, সম্প্রতি লিবিয়ায় ২৬ জন বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় সারাদেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যর সৃষ্টি করে। এরপর র্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তরের নির্দেশক্রমে র্যাব-১২ মানবপাচার চক্র গ্রেফতারে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে এবং একটি অপহরণকারী চক্রের সন্ধান পায়। বাগেরহাট জেলার সদর উপজেলার চুলকাঠি গ্রামের আনোয়ার গাজীর পুত্র লিবিয়া প্রবাসী মুরশিদ গাজী (২৭) সহ বগুড়ার চারমাথার আফসার আলীর ছেলে সাইফুল আলী (২৭) কিছু স্থানীয় বাংলাদেশি ও লিবিয়ান মানবপাচার চক্রের দ্বারা অপহৃত হয়। অপহরণের পর লিবিয়ায় বাংলাদেশি চক্রের সদস্যরা ছদ্মনামের ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে ভিকটিম মুরশিদ গাজীর বড় ভাই বেলাল গাজীকে বাংলাদেশি চক্রের মূল হোতা লিবিয়ায় বসবাসরত সোহেল (২৮) ভিকটিমদের নির্যাতনের একটি ভিডিও পাঠিয়ে ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। তখন মুক্তিপণ না পেলে হত্যার হুমকি দেয়া হয়। ওই ফেসবুক আইডির মাধ্যমে লিবিয়ার মূলহোতা সোহেল মুক্তিপণ আদায়ের জন্য তার ছোট ভাই পাথরঘাটা সজল ও নগদের এজেন্ট ইদ্রিস আলীর নম্বর প্রদান করে।
ভিকটিম মুরশিদ গাজীর বড় ভাই বেলাল গাজী সজলের সাথে উক্ত নম্বরে কথা বলে ইদ্রিস আলীর নগদ হিসাবের মাধ্যমে মুক্তিপণের দাবী কৃত টাকার মধ্যে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা প্রদান করে। একই ভাবে সজল ও ইদ্রিসের একাধিক সীম নম্বর ও মোবাইল সেট ব্যবহার করে বগুড়ার চারমাথার আফসার আলীর ছেলে সাইফুল আলী (২৭) এর পরিবারের কাছ থেকেও ৫ লক্ষ টাকা দাবী করে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আদায় করে।
বিষয়টি জানতে পেরে গত গত মঙ্গলবার রাতে পাথরঘাটায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত অপহরণকারী চক্রের সক্রীয় ওই ২ জন সদস্যকে আটক করা হয়। এ সময় তাহাদের ফোনের লোডের ১ লাখ ২৬ হাজার ৭৫৮ টাকা ও নগদ ৮ হাজার ১০০ টাকা, ২৫ টি নগদ, বিকাশ ও ফ্লেক্সিলোডের রেজিষ্টার খাতা, ১১টি মোবাইলসেট ও ২৯টি সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়। এরপর বুধবার দুপুরে আটককৃতদের নিয়ে র্যাব-১২ সদর দপ্তর সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
এসময় র্যাব-১২ এর পরিচালক খায়রুল ইসলাম বলেন, লিবিয়ায় বাংলাদেশিদের অপহরণের সাথে যারা জড়িত তাদের কাউকেই ছাড় দেয়া হবেনা। র্যাব সেভাবেই মাঠে নেমেছে। দায়ী যারাই হোক তাদের আইনের কাছে সোপর্দ করা হবে। এছাড়া আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তাদের নিজ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনের সময় র্যাব-১২ এর সিরাজগঞ্জ স্পেশাল কোম্পানীর সহকারী পরিচালক এমএম এইচ ইমরান উপস্থিত ছিলেন।
কেআই/
আরও পড়ুন