বেনাপোল কাস্টমের নামে পেইজ খুলে প্রতারণা,আটক ১
প্রকাশিত : ১৭:৩৩, ৪ জুন ২০২০ | আপডেট: ১৭:৩৬, ৪ জুন ২০২০
বেনাপোল কাস্টম হাউজের বাইক সেল অফিশিয়াল নামে ভুয়া পেইজ খুলে দীর্ঘদিন ধরে নিলামে ভারতীয়সহ বিভিন্ন দেশের মোটর সাইকেল বিক্রির প্রতারণা করার অভিযোগে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ আরমান (২৮) নামে একজন প্রতারককে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত আরমান কৃমিল্লার মৃত শাহ আলমের ছেলে।
কাস্টম সূত্রে জানা গেছে, বেনাপোলসহ শার্শার বিভিন্ন সীমান্ত থেকে বিভিন্ন সংস্থার হাতে আটক চোরাই মোটরসাইকেল বেনাপোল কাস্টমে জমা করা হয়। পরবর্তীতে এসব মোটরসাইকেল নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করে থাকে বেনাপোল কাস্টম কর্তৃপক্ষ। অনলাইনে নিলামের যাবতীয় তথ্য প্রদান করা হয়। নিলাম থেকে এই মোটর সাইকেল গুলো বিভিন্ন ক্রেতাগণ ক্রয় করে থাকেন। প্রতারক চক্র এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেনাপোল কাস্টম হাউজকে ফলোআপ করে ফেইসবুকে বাইক সেল অফিসিয়াল পেইজ নামে একটি ভুয়া পেইজ খোলেন।
এই পেইজটি খোলার পরে এই প্রতারক চক্র দেশের বিভিন্ন মোটরসাইকেল ক্রেতাদের কাছ থেকে কাগজপত্রসহ মোটর সাইকেল বিক্রির কথা বলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায় এই পেইজটি ভূয়া। বিভিন্ন ক্রেতাদের অভিযোগের ভিত্তিতে বেনাপোল কাস্টম হাউসকে জড়িয়ে এই বাইক সেল অফিশিয়াল ভুয়া পেইজ সম্পর্কে বেনাপোল কাস্টম হাউজের দৃষ্টিগোচর হলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজস্ব কর্মকর্তা নাঈম মিরন বাদী হয়ে সোমবার (১ জুন) বেনাপোল পোর্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ বুধবার (৩ জুন) রাতে আসামি আরমানকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে বেনাপোল নিয়ে আসে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার সকালে যশোর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বেনাপোল কাস্টম হাউসে রাজস্ব কর্মকর্তা নাঈম মিরন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ফেসবুকে মিথ্যা পেইজ খুলে সেখানে একটি মোবাইল নম্বর দিয়েছে প্রতারক চক্র। সেটা আমাদের কোন কর্মকর্তাদের নয়। এরা মূলত ভারত থেকে চোরাইপথে মোটর সাইকেল বাংলাদেশে নিয়ে আসে। পরে ক্রেতাদের কাস্টমের দোহাই দিয়ে বলে কাস্টম হাউজ থেকে কাগজপত্র বৈধ করে দিচ্ছি, কাগজপত্র সঠিক করে দিচ্ছি বলে ক্রেতাদের কাছ থেকে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দেয়।
এঘটনা জানতে পেরে আমরা বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা করি। পরে শুনেছি ঢাকা থেকে প্রতারক চক্রের একজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান বলেন, বেনাপোল কাস্টম কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার প্রধান আসামি আরমানকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার (৪ জুন) সকালে তাকে যশোর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
কেআই/
আরও পড়ুন