ঢাকা, সোমবার   ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানিতে লোকালয় প্লাবিত   

বাগেরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৬:৫১, ৬ জুন ২০২০ | আপডেট: ১৬:৫৪, ৬ জুন ২০২০

বাগেরহাটের শরনখোলায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ভাঙা বেড়িবাঁধ থেকে জোয়ারের পানি ঢুকে দুই শতাধিক ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। গত ২০ মে বাংলাদেশের উপকূলজুড়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় আম্পানের পানি নেম যাওয়ার পরে প্রায় স্বাভাবিক হয়ে উঠেছিল ওই এলাকার জনজীবন।

শনিবার (৬ জুন) বেলা ১১টার জোয়ারে ভাঙ্গা বাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে বগী গ্রামের দুই শতাধিক ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। পূর্নিমার কারণে বর্তমানে বলেশ্বর নদীতে পানির চাপ বেশি। যতদিন পানির চাপ যতদিন বেশি থাকবে ততদিন জোয়ার ভাটা হিসেব করে বসবাস করতে হবে পানিতে প্লাবিত হওয়া মানুষদের। খুব শীঘ্রই ভাঙা স্থানগুলোর মেরামত শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তাফা শাহিন।

এদিকে বারবার ঝড় জলোচ্ছ্বাসে জানমাল হারানো শরণখোলাবাসী বলছেন, অনেক আশ্বাস পেয়েছি। কিন্তু বাঁধ নির্মাণ হয়নি। ঝড় জলোচ্ছ্বাসে পানিতে ভেসে যাই। এভাবে আর কতদিন। ছেড়ে দিয়েছি বাঁধ নির্মাণের আশা। এভাবে যতদিন থাকা যায়।

বগী গ্রামের শাহজাহান বলেন, আম্পানের ফলে পানিবন্দি কয়েকদিন ছিলাম। অনেক কষ্ট করে জীবনযাপন করছি। কিন্তু আজ আবার হঠাৎ করে জোয়ারের পানিতে আমাদের বাড়িঘর প্লাবিত হল। এভাবে হতে থাকলে আর কয়দিন বাঁচা যাবে।

স্থানী ইউপি সদস্য রিয়াদুল পঞ্চায়েত বলেন, জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। যার ফলে এখন থেকে পানি না কমা পর্যন্ত এখানের মানুষদের জোয়ার-ভাটা হিসেব করে বসবাস করতে হবে। রান্নাবান্নার কাজ রয়েছে বন্ধ।যাদের সুযোগ রয়েছে তারা নিজের বাসস্থান পরিবর্তণ করেছে।পানি কমলে আবার আসবে। এ অবস্থায় দ্রুত বাঁধ মেরামত ও সংস্কার করা না হলে এই এলাকা মানুষ বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাবে বলে দাবি করেন তিনি।

শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরদার মোস্তাফা শাহিন বলেন, খুব শীঘ্রই ভাঙাস্থানগুলোর মেরামত শুরু করা হবে। যাতে লোকালয়ে জোয়ারের পানি ঢুকতে না পারে। প্রকল্প বাস্তবায়নের পর টেকসই বেড়িবাধ নির্মাণ কাজ করা হবে।

২০ মে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫/১ পোল্ডারের শরণখোলা উপজেলার বগি ও গাবতলা গ্রামের প্রায় ২ কিলোমিটার বাঁধ বিভিন্ন জায়গা দিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
কেআই/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি