নওগাঁয় প্রতিপক্ষের হামলায় আহতের মৃত্যু, মূলহোতা গ্রেপ্তার
প্রকাশিত : ২১:০২, ৬ জুন ২০২০
নওগাঁর মান্দায় মসজিদে দানের টাকার ঘোষণা দেয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় তোফাজ্জল হোসেন (৪০) ও মোকলেছার রহমান (৪২) নামে সহোদর দুই ভাই গুরুতর আহত হয়। এর মধ্যে শনিবার (৬ জুন) সকালে রাজশাহী মেডিকাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তোফাজ্জল হোসেনের মৃত্যু হয়। নিহত তোফাজ্জল ওই গ্রামের মৃত ফয়েজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে।
এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই হেলাল হোসেন বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ হামলাকারীদের মূল হোতা আব্দুল জলিল নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে শনিবার দুপুরে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
মান্দা থানার ওসি মোঃ মোজাফ্ফর হোসেন জানান, শুক্রবার জুমার নামাজের সময় মসজিদের উন্নয়নে কে কত টাকা দান করেছেন, বিষয়টি মসজিদের কমিটির পক্ষে ক্যাশিয়ার নিহতের বড় ভাই মোকলেছার রহমান ঘোষণা দেন। এ সময় বিষয়টি ঠিকমতো শুনতে না পেয়ে আব্দল জলিল ও তার লোকজন নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে আবারো ক্যাশিয়ার মোকলেছারের নিকট জানতে চায়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাটাটি হয়, এক পর্যায় বাতবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে এবং আবুল জলিলের ছেলে শাকিল হোসেন মোকলেছারকে চড়-থাপ্পর মারেন। এ সময দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পরে আব্দুল জলিল ও তার লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রে শজ্জিত হয়ে মোকলেছার রহমান ও তার ছোট ভাই তোফাজ্জল হোসেনের উপর হামালা চালালে তারা গুরুতর আহত হন।
আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাদের অবস্থার অবনিত ঘটলে ওইদিন সন্ধ্যায় তাদেরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকাল ৯টার দিকে তোফাজ্জল হোসেন মারা যান।
মসজিদ কমিটির সভাপতি আসাদ আলী জানান, মসজিদের উন্নয়নকল্পে ৮শ টাকা দানের ঘোষণা শুনতে না পারা নিয়ে আব্দুল জলিল ও তার লোকজন নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে তোফাজ্জল হোসেন ও মোকলেছার রহমানের উপর হামলা চালালে তারা গুরুতর আহত হয়।
মান্দা থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) মোজাফফর হোসেন বলেন, এই ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে এবং ঘটনার মূলহোতা আবদুল জলিলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এনএস/
আরও পড়ুন