মোংলায় সরকারি চাল জব্দ, আটক নিয়ে চালবাজি
প্রকাশিত : ১৫:৪৬, ১০ জুন ২০২০
মোংলায় ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’ও খাদ্য অধিদপ্তরের সীল সম্বলিত সরকারি চাল জব্দ ও জড়িত ব্যক্তিদের আটক নিয়ে চলছে চালবাজি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থল থেকে ৮০ বস্তা চাল জব্দসহ এর সাথে জড়িত এক নারীকে আটকের নির্দেশ দিলেও রহস্যজনক কারণে তাকে আটক করা হয়নি। উল্টো চাল পাচারের সাথে জড়িত ব্যক্তিকে আটক ও চাল জব্দ না করে স্থানীয় ইউপি মেম্বরের জিম্মায় দেয়া হয়।
সরকারি চাল পাচার ও মজুদের খবর পেয়ে মঙ্গলবার (৯ জুন) রাতে মোংলা শহরতলীর উত্তর চাঁদপাই এলাকায় অভিযান চালায় স্থানীয় প্রশাসন। ঘটনাস্থল থেকে ৮০ বস্তা চাল জব্দ এবং ঘটনাস্থলে এক নারীকে পাওয়া গেলে তাকে আটকের নির্দেশ দেন ইউএনও মো. রাহাত মান্নান।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘এ চাল দুর্গন্ধযুক্ত, যা কোনভাবেই মাছ কিংবা পশুর খাবার হিসেবে ব্যবহার ও বেচাকেনা করা যাবে না। যেহেতু দুর্গন্ধযুক্ত সেহেতু এগুলো ডাম্পিং করার কথা। তারপরও এ চাল কিভাবে এখানে এসেছে, কে বা কাহারা এনেছে, তা পুলিশ তদন্ত করে খুঁজে বের করবে ও ব্যবস্থা নিবে।’
তবে ঘটনাস্থলে যাওয়া পুলিশ কর্মকর্তা এস আই মো. আহাদ বলেন, ‘এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ না করায় সাধারণ ডায়েরি হয়েছে।’
এদিকে চাল পাচারের ঘটনায় ইউএনও মো. রাহাত মান্নান মোংলা সরকারি গুদামের ইনচার্জ মো. মমিনুল ইসলামকে বাদী হয়ে থানায় মামলা করার কথা বললেও অনিহা প্রকাশ করেন খাদ্য অধিদপ্তরের ওই কর্মকর্তা।
তিনি জানান, ‘ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া আমি কিছুই করতে পারবো না।’
চাল পাচারের সাথে জড়িত উজ্জল ফকির (৩২) এবং তার মা পেয়ারা বেগম (৫০) বলেন, ‘ফেরিঘাট সংলগ্ন জনৈক ফারুক ডিলারের বার্জ (নৌযান) হতে তারা এ চাল কিনে এনেছেন। চাল কিনে তারা উত্তর চাঁদপাই গ্রামের বাবুল শেখের নির্মাণধীন ভবনের ভিতরে রাখেন এবং চাঁদপাই মাজারের সামনের একটি দোকানে এ চাল বিক্রিও করেন।’
তবে ফেরিঘাট সংলগ্ন যে নৌযান থেকে এ চাল পাচার করা হলেও রহস্যজনক কারণেই সেখানেও কোন অভিযান চালায়নি প্রশাসন। নৌযানে অভিযান না চালানো, জিজ্ঞাসাবাদে নৌযানের কাউকে আটক না করা, চাল পাচারকারী চক্রের সদস্যকে হাতে নাতে পেয়েও ছেড়ে দেয়া এবং চাল জব্দ না করার বিষয়টি শহরজুড়ে ব্যাপক গুঞ্জনের জন্ম দিয়েছে।
এআই//
আরও পড়ুন