রাজশাহী বিভাগে একদিনে শনাক্ত ১২২, মৃত্যু ১
প্রকাশিত : ১৭:৫১, ১০ জুন ২০২০ | আপডেট: ১৮:০০, ১০ জুন ২০২০
রাজশাহী বিভাগের সাত জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১২২ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত এবং মারা গেছেন ১ জন। অপর এক জেলায় এদিনে কোনো সংক্রমণ শনাক্ত হয়নি। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন আরও ১৫ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী।
রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তারের পরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্তদের মধ্যে বগুড়ার ৭৭ জন, সিরাগঞ্জের ১৬ জন,পাবনায় ১৩ জন, রাজশাহীতে ১০ জন, নওগাঁয় ৪ জন, নাটোরে ১ জন ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১ জন। তবে বিভাগের অপর জেলা জয়পুরহাটে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোন রোগী শনাক্ত হয়নি বলে তিনি জানান।
ডা. গোপেন্দ্র আরও জানান, রাজশাহী বিভাগে এ পর্যন্ত এক হাজার ৮৫২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ মধ্যে সর্বোচ্চ বগুড়ায় ৯৫১ জন আক্রান্ত। এছাড়াও রাজশাহীতে ৯৬ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৫৮ জন, নওগাঁয় ১৬৩ জন, নাটোরে ৬৯ জন, জয়পুরহাটে ২১৪ জন, সিরাজগঞ্জে ১৫৭ জন ও পাবনায় ১৪৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় নওগাঁয় একজন করোনা আক্রান্ত রোগী মারা গেছেন। এ নিয়ে বিভাগের ৮ জেলার মধ্যে ৬ জেলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯ জন। তবে এখনও জয়পুরহাট ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে কোন করোনা আক্রান্ত রোগি মারা যায়নি। রাজশাহীতে তিনজন, নওগাঁয় তিনজন, নাটোরে একজন, বগুড়ায় আটজন, সিরাজগঞ্জ দুইজন ও পাবনায় তিনজন।
ডা. গোপেন্দ্র নাথ বলেন, রাজশাহী বিভাগে চারটি ল্যাবে করোনা পরীক্ষা হচ্ছে। এর মধ্যে সরকারিভাবে তিনটি ও বেসরকারি একটি। এর মধ্যে রাজশাহীতে দুইটি ও বগুড়ায় একটি সরকারি। বেসরকারি ল্যাব বগুড়ায়। এছাড়াও অতিরিক্ত নমুনাগুলো ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে। প্রতিদিন নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা বাড়ছে। তার সঙ্গে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের সংখ্যাও।
স্টেশনে যাত্রীর মৃত্যু,নমুনা সংগ্রহঃ
রাজশাহী রেল স্টেশনে এক যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। খুলনা থেকে ছেড়ে আসা কপোতাক্ষ ট্রেনের যাত্রী ছিলেন তিনি। ট্রেন থেকে নেমেই প্ল্যাটফর্মেই মারা যান ওই যাত্রী। পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানান রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস।
মৃতের নাম আব্দুল কুদ্দুস ওরফে রাজন (৫৫)। তার বাড়ি কুষ্টিয়ায়। তিনি হার্টের রোগী ছিলেন। চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে যাচ্ছিলেন তিনি। তবে হাসপাতালে পৌঁছার আগে তিনি মারা যান। তার সঙ্গে তিনজন স্বজন ছিলেন।
রাজশাহী জিআরপি থানার ওসি শাহ কামাল বলেন, ট্রেন থেকে প্লাটফরমে নেমে মাথা ঘুরে পড়ে যান। পরে রেলওয়ে হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সকে ফোন করা হয়। কিন্তু তারা বহন করতে অপারগতা জানায়। পরে রেল পুলিশ বাধ্য হয়ে তাকে একটি অটোরিকশায় তুলে রামেক হাসপাতালে পাঠায়। হাসপাতালের ২৩ নং ওয়ার্ডে তাকে ভর্তি করা হয়। সেখানে ইসিজি করার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস বলেন, মূলত হর্টের সমস্যায় তার মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে পৌঁছার অনেক আগেই তার মৃত্যু হয়। এর পরও তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়াও স্বাস্থবিধি মেনে তাকে দাফন করার পরামর্শে দেয়া হয় বলে জানান তিনি।
কেআই/
আরও পড়ুন