বেড়িবাঁধ সংলগ্ন মাটি কেটে ইট তৈরি, ঝুঁকিতে জনবসতি ও বাঁধ
প্রকাশিত : ১৩:৩৪, ১১ জুন ২০২০
ভোলার লালমোহনে ইট তৈরিতে বেড়িবাঁধ সংলগ্ন মাটি কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এতে একদিকে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাঁধ, অন্যদিকে বসতি হারাতে বসেছে ভিটেমাটি হারা দরিদ্র মানুষেরা।
গত কয়েক মাস ধরে এ অবস্থা চলতে থাকলেও কেউ ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না। তবে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান বলছেন, ‘ইট তৈরিতে নিজস্ব জমির মাটি কাটছেন তিনি।’
স্থানীয়রা জানান, লালমোহন উপজেলার নদী উপকূলবতী এক জনপদ লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়ন। ওই ইউনিয়নের ফাতেমাবাদ ১নং ওয়ার্ড এলাকায় বেড়িবাঁধের পাশেই বসবাস করে আসছেন ছিন্নমূল শতাধিক পরিবার। কিন্তু অবৈধভাবে বাঁধের মাটি কেটে ফেলায় বর্তমানে ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে ওই এলাকার বাসিন্দারা।
অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাসেম তার মালিকানাধীন একটি ইটভাটায় ইট তৈরি করতে গভীরভাবে মাটি কাটছেন বেড়িবাঁধের পাশেই। এতে সেখানকার বাসিন্দারা বসতি নিয়ে চরম নিরাপত্তীনতায় ভুগছেন। কিন্তু ভয়ে মুখ খুলছেন না কেউই। আবার অনেকে চলে যেতে চাপ সৃষ্টিও করছেন।
গণমাধ্যমকর্মীরা সেখানে গেলে চেয়ারম্যানের লোকজন বাধা সৃষ্টির চেষ্টা করে ও আশ্রিত মানুষদের সাংবাদিকদের বক্তব্য না দিতেও কঠোরভাবে নিষেধ করে।
নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা পেতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই বাঁধের পাশেই রয়েছে অসংখ্য জনবসতি। এসব স্থানে ইটভাটা নির্মাণের নিয়ম না থাকলেও অবৈধভাবে নির্মিত ইটভাটায় পরিবেশও মারাত্মক দূষিত হচ্ছে।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়ন ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাসেম বলেন, ‘নিজের মালিকানাধীন জমির মাটি কাটছি। এছাড়া এই মাটি কাটলে বাঁধের কোন ক্ষতি হবে না।’
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, ‘অবৈধভাবে কেউ ইট তৈরিতে মাটি কাটলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আর অবৈধভাবে মাটিকাটা বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থার নেওয়ার দাবি ভুক্তভোগী বাসিন্দাদের।
এআই//
আরও পড়ুন