ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বরগুনায় অপহরণ ও চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেফতার ৩

বরগুনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৩:১৯, ১৩ জুন ২০২০

বরগুনায় এক যুবককে ফাঁদে ফেলে জিম্মি করে চাঁদা নেওয়ার সময় মিজানুর রহমান সুমন গোলদার (৪২) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জিম্মি হওয়া যুবক মামুন (২৬) কে উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের হরিণঘাটা এলাকার তোফাজ্জল মাস্টারের ছেলে। 

এ ঘটনায় চম্পা নামের এক নারী ও লিমন নামের অপর একজনকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ শনিবার আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হবে। 

বরগুনা থানা পুলিশ সূত্র জানায়, পৌর শহরের পিটিআই এলাকার চম্পা নামের ওই নারীর সাথে পাথরঘাটার হরিণঘাটার মামুনের ভার্চুয়াল সখ্যতা তৈরি হয়। এর সূত্র ধরে শুক্রবার সকালে মামুনকে দেখা করার কথা বলে বরগুনায় ডেকে আনে চম্পা। মামুনকে নিয়ে সে ক্রোক এলাকার লিমনদের বাড়িতে নিয়ে লিমনের সহায়তায় একটি কক্ষে আবদ্ধ রাখে। এসময় বামনা এলাকার কথিত সাংবাদিক সুমন গোলদার ওই বাড়িতে গিয়ে মামুনকে পুলিশ পরিচয়ে মারধর করে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। 

আত্মীয়-স্বজনদের সহায়তায় দুই দফায় সুমনের বিকাশ একাউন্টে ১২ হাজার দেয় মামুন। এরপরও জিম্মিকারী সুমন ও চম্পা আরও ২০ হাজার টাকা দাবি করে। 

বিষয়টি জানার পর মামুনের খালু জাকির হোসেন কালাম বরগুনা সদর থানা পুলিশকে ঘটনাটি জানায়। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ডক্টরর্স কেয়ার ক্লিনিকের সামনে বিকাশ থেকে টাকা ক্যাশ আউটের সময় হাতেনাতে সুমনকে গ্রেফতার করে। পরে অভিযান চালিয়ে পিটিআই সড়ক থেকে চম্পা ও লিমনকে গ্রেফতার করে। 

বরগুনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) শহিদুল ইসলাম জানান, ‘এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে মামুনের মা কহিনুর বেগম বাদি হয়ে গ্রেফতারকৃত তিনজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির টাকা ও মোবাইল জব্দ করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে আসামীদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হবে।’

খোঁজ নিয়ে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, সুমন গোলদার বরগুনার বামনা উপজেলার বাসিন্দা। সাংবাদিক পরিচয়ে বিভিন্ন সময়ে বামনা এলাকায় চাঁদাবাজি করে আসছেন তিনি। এছাড়াও চম্পা নামের ওই নারীকে দিয়ে লোকজনকে ভার্চুয়াল ব্লাকমেইল করে টাকা আদায় করে থাকেন। কয়েকবছর আগে সুমন গোলদারের ইয়াবা সেবনের একটি ভিডিও ও চাঁদা দাবির একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। 

বামনা প্রেসক্লাবের সভাপতি দুলাল আকন জানান, ‘উপজেলার আনাচে-কানাচে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে সুমন যুক্ত। সাংবাদিকতা দিয়ে শুধু চাঁদাবাজি নয় তিনি বামনা উপজেলার একজন স্বনামধন্য ইয়াবা ব্যবসায়ী ও ইয়াবাসেবী। ইতিমধ্যে তার ইয়াবা সেবনের ভিডিও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় বাল্যবিয়ের নাম করে প্রচুর টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।’

এআই//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি