সরকারি খাল দখল: জলাবদ্ধতার শিকার দুইশ পরিবার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নের কান্দিপূর্ব গ্রামের একটি সরকারি খাল দখল করে বালু ভরাট করে ফেলায় জলাবদ্ধতার শিকার হয়েছেন ওই এলাকার প্রায় দুইশ পরিবার। স্থানীয় প্রভাবশালী মাজহারুল হক মেরাজ এই খালটি ভরাট করে ফেলেছেন বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। 

এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য গত বৃহস্পতিবার এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। 

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নের কান্দিপূর্ব গ্রামের ভলাকুট মৌজার ১১৭৫৭ দাগের সরকারি খালটি দখল করে বালু দিয়ে ভরাট করে ফেলেছেন একই এলাকার মাজহারুল হক মেরাজ নামে একজন প্রভাবশালী। এতে করে ওই এলাকার দুইশত পরিবার জলাবদ্ধতার শিকার হয়েছেন। এ নিয়ে  প্রতিবাদ করলে তিনি গ্রামবাসীকে মামলার হুমকি দেন।  
গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ওই ব্যক্তিকে সরকারি খালটির দখল ছাড়তে অনুরোধ করলেও তিনি কারো কথায় কর্ণনপাত করেননি। 
ভুক্তভোগী জসিম উদ্দিন, জাকির হোসেন, জায়েদা আক্তার, জাহানারা বেগম, আছিয়া বেগম, হোসনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে আমাদের বাড়িতে, রাস্তায় পানি জমেছে। বাড়ির টয়লেট ও রান্নার চুলা এখণ পানির নিচে। সরকারি খাল দখল করে ভরাট করে ফেলায় আমরা জলাবদ্ধতার শিকার হচ্ছি। এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় গ্রামের ২২ জনকে আসামী করে একটি মামলাও দায়ের করেছেন প্রভাবশালী মেরাজ।’ 

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মাজহারুল হক মেরাজ তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এটা সরকারি খাল নয়, আমাদের ব্যক্তি মালিকানা জায়গার উপর দিয়ে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে। এতে আমাদের কোন বাধা নেই। পাশ্ববর্তী লোকজন জায়গা-জমি ভরাট করায় আমাদের জায়গাও ভরাট করছি। সরকারি খাল দখলের প্রশ্নই উঠে না।’

এ  ব্যাপারে ভলাকুট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রুবেল মিয়া বলেন, ‘স্থানীয়ভাবে আমরা এই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু মাজহারুল হক মেরাজ কারো কথা শুনতে চায় না। তিনি জোরপূর্বক সরকারি খাল দখল করে রেখেছেন। কেউ প্রতিবাদ করলে তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করেন। এ পর্যন্ত তিনি এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে দুইটি মামলা দায়ের করেছেন।’

জানতে চাইলে নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমা আশরাফী বলেন, ‘ভলাকুট ইউনিয়নের কান্দি গ্রাম থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এআই//