ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ধর্ষণের শিকার কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা, ধামাচাপা দিতে মীমাংসার চাপ 

নওগাঁ প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৩:৪১, ১৪ জুন ২০২০

নওগাঁয় ধর্ষণের শিকার এক কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরিবারটি বলছে, ঘটনা ধামাচাপা দিতে মীমাংসার চাপ দেয়া হচ্ছে তাদের। তবে অভিযুক্তের স্বজনদের দাবি, টাকা আদায়ের জন্য এ নাটক সাজানো হয়েছে। 

এদিকে এখন পর্যন্ত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তবে জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ বলছে, অভিযোগ পেলেই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন তারা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রাম। এই গ্রামের বাসিন্দা রিকশা চালক ছালামত। ৩ চাকার চার্জার রিকশার উপর চলে পরিবারের জীবন চাঁকা। ছালামতের ১৫ বছরের এক কিশোরী মেয়ে পাশের একটি মাদ্রাসায় নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। 

কিশোরী ও তার পরিবারের দাবি, প্রায় ৫ মাস আগে ভাত রান্না করার কথা বলে কৌশলে নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় প্রতিবেশী চাচা গ্রাম পুলিশ ফেলু (ফেলু পাহাড়পুর ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম পুলিশ হিসেবে কর্মরত আছে)। সেখানেই ফুসলিয়ে ও লোভ দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয় কিশোরীকে। এরপর ঘটনা গড়ায় অন্তঃসত্ত্বা পর্যন্ত। 

ধারণা করা হচ্ছে শুধু ফেলু নয় আরো কয়েকজন এই ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। সম্প্রতি বিষয়টি কিশোরীর মা জানার পর মুখ লজ্জার ভয়ে ও প্রভাবশালীদের চাপে আগত বাচ্চাটিকে গোপনে এক ধাত্রীর কাছে নিয়ে গিয়ে নষ্ট করেন। কিন্তু এখনও ওই কিশোরী সুস্থ নয়। কিশোরীর পরিবারের দাবি সুষ্ঠ একটি দৃষ্টান্তরমূলক শাস্তি ও বিচার। 

এদিকে বিষয়টি জানাজানির পর থেকে ওই গ্রাম পুলিশ পলাতক। সাংবাদিক আসার খবরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে হট্টগোল সৃষ্টি করে অভিযুক্তের স্বজনরা। সবকিছু মিথ্যা দাবি করে যেকোন মূল্যে মীমাংসা করতে চান তারা। যদিও বাড়িতে ও মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও অভিযুক্ত ওই চৌকিদারের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এছাড়াও বিভিন্ন মহল এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিশোরীর গরীব পরিবারকে ব্যবহার করে ব্যবসা করার চেষ্টাও অব্যাহত রেখেছেন বলে জানা গেছে। 

কিশোরীর মা শাহনাজ বেগম বলেন, ‘আমি এই ধর্ষণের দৃষ্টান্তরমূলক শাস্তি চাই। মেয়ের যে সর্বনাশ করা হয়েছে এখন আমি মেয়েকে নিয়ে কোথায় যাবো। আমি গরীব মানুষ। মেয়ের চিকিৎসা করার জন্য টাকা-পয়সারও প্রয়োজন। আমার মেয়েকে বিয়ে দিতে হবে। এখন মেয়েকে নিয়ে কি করবো।’

পাহাড়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান কিশোর বলেন, ‘এই ঘটনার সাথে আরো কয়েকজনের সম্পৃক্ততার কথা আমি শুনেছি। তবে গ্রাম পুলিশ ফেলু পরিষদে আসছে না। আর বিষয়টি এখনো আমাকে কেউ জানায়নি।’

বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চৌধুরী জোবায়ের আহম্মদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এআই//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি