ঋণ গ্রহিতাকে জখম করে টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ
প্রকাশিত : ১৯:৪৮, ১৫ জুন ২০২০
আহত ঋণ গ্রহিতা
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শিবগঞ্জ বাজারে স্থানীয় গ্রামীণ সমবায় সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে ঋণ গ্রহিতাকে জখম করে পকেটে থাকা ত্রিশ হাজার পাঁচ শত টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত মো: মামুন সদর উপজেলার শিবগঞ্জ এলাকার মৃত রশিদুল ইসলামের ছেলে।
সোমবার (১৫ জুন) সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর এ অভিযোগ করেন একই উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের বিশ্বাসপুর গ্রামের মৃত গুরু দয়ালের ছেলে কেশব বর্মন। তিনি পেশায় একজন দর্জি ও গ্রামীণ সমবায় সমিতির একজন ঋণ গ্রহিতা।
অভিযোগে জানা যায়, সদর উপজেলার শিবগঞ্জ বাজারে একটি টেইলার্সের দোকান পরিচালনা করেন কেশব বর্মন। ব্যবসায়িক প্রয়োজনে স্থানীয় গ্রামীণ সমবায় সমিতি থেকে এক লাখ টাকা ঋণ নেন তিনি। সমিতি থেকে এই ঋণ নেয়ার সময় তাকে বলা হয় ৬ মাস মেয়াদী দৈনিক ৬০০/- টাকা কিস্তিতে তা পরিশোধ করতে। এতে তিনি রাজি হওয়ায় তার কাছ থেকে অলিখিত ৩০০/- টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়া হয় এবং ওই টাকা পরিশোধ হলে তাকে অলিখিত স্টাম্পগুলো ফেরত দিবে মর্মে জানানো হয়।
এদিকে, আনুমানিক আট থেকে দশটি কিস্তি দেয়ার পর দেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদূর্ভাব দেখা দেয়ায় সরকার কর্তৃক লকডাউন এবং সকল দোকানপাট বন্ধ ঘোষণা করায় ওই সমিতির ঋণ আদায় কার্যক্রমও বন্ধ থাকে। গত ৩১মে দোকানপাট খোলার নির্দেশ দেয়া হলে কেশব বর্মনও দোকান খোলেন। গ্রামীণ সমবায় সমিতির সভাপতি মোঃ মামুন সোমবার দুপুর ২টায় তার সাঙ্গ পাঙ্গ নিয়ে দোকানে যায় এবং কিস্তির সমুদয় টাকা দাবি করে।
এসময় কেশব বর্মন ওই টাকা পরিশোধের জন্য কিছুদিন সময় চাইলে দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয় এবং স্বাক্ষর করা লিখিত স্ট্যাম্পে জমি লিখে নিবে বলে কেশব বর্মনকে হুমকি দেয় মামুন। এ বিষয়ে কেশব বর্মন না-স্বীকার গেলে মামুন তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ছোট আকারের ছোরা ও হাতুড়ি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে আক্রমণ করে। এসময় সে গুরুতর জখম হয় এবং তার পকেটে থাকা ৩০ হাজার ৫ শত টাকা বের করে নেয়।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। এ বিষয়ে কেশব বর্মন ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি এজাহার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ-আল-মামুন বলেন, অভিযোগটি হাতে পেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সদর উপজেলা সমবায় কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, এ বিষয়ে আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এ বিষয়ে জানার জন্য গ্রামীণ সমবায় সমিতির সভাপতি মামুনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এনএস/
আরও পড়ুন