বেনাপোল কয়েকটি এলাকায় লকডাউন ঘোষণা
প্রকাশিত : ২০:২২, ১৬ জুন ২০২০
মহামারী করোনা ভাইরাস বিস্তার রোধে প্রশাসনের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী যশোরের বেনাপোল পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড ও শার্শা উপজেলার নাভারণ সদর এলাকা 'রেড জোন' ঘোষনা করা হয়েছে। এ দুটি এলাকার কয়েকটি গ্রাম সম্পূর্ণ রুপে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ‘রেড জোন’ ঘোষিত এলাকার দোকানপাট ও হাটবাজার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। চলছে পুলিশের টহল। বাইরের লোকজনকে ঘরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। মঙ্গলবার দুপুরে কয়েকটি এলাকায় সরেজমিনে এ চিত্র দেখা গেছে।
‘রেড জোনে’ মানুষের চলাফেরায় নজর রাখাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন প্রশাসন। তারা কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের বাড়িতে যাচ্ছেন এবং তাদের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। ‘রেড জোন’ ঘোষিত এলাকা হলো বেনাপোল পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের নামাজগ্রাম ও দূর্গাপুর গ্রাম এবং শার্শা সদর ইউনিয়নের কাজিরবেড়, নাভারন রেলবাজার, উত্তর ও দক্ষিণ বুরুজবাগান গ্রাম।
বাঁশের বেড়া দিয়ে তাতে লকডাউন ব্যানার টাঙিয়ে এর কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেন, শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মন্ডল, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খোরশেদ আলম চৌধুরী, বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন, বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি মামুন খান, শার্শা থানার ওসি বদরুল আলম খানসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা, বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দ ও পৌরসভার কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঘর থেকে বের হলেই পুলিশের জেরায় পড়তে হচ্ছে। বাইরে বের হওয়ার উপযুক্ত কারণ দেখাতে না পারলে ফের বাড়ি পাঠাচ্ছে পুলিশ। এলাকার দোকানপাট ও হাটবাজার বন্ধ রয়েছে। তবে বিভিন্ন ব্যাংকসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান খোলাসহ জরুরি পরিষেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের চলাফেরার ফাঁক দিয়ে মানুষ লাল জোন এলাকায় ঢুকে পড়ছে।
বেনাপোলের দুর্গাপুর গ্রামের অনেক নাগরিক তাদের ওয়ার্ড লকডাউন প্রসঙ্গে অভিযোগ করে বলেন, শুধুমাত্র তারা ফেসবুকে দেখেছে বাস্তবে তারা কিছুই জানে না। তাদেরকে এ বিষয়ে কোনো সচেতন করা হয়নি, রেড জোনের মধ্যে বিধি-নিষেধ অনুযায়ী কি কি সুযোগ সুবিধা থাকবে সেটাও তারা জানে না। কতদিন লকডাউন থাকবে সে বিষয়ে তারা অবগত নয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মন্ডল বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রামণ এড়াতে উপজেলার অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ছয়টি এলাকা ‘রেড জোন’ ঘোষণাপূর্বক একটি আদেশ জারি করেছে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ। মানুষ কারণে-অকারণে নানা অজুহাতে বাইরে চলাচলের চেষ্টা করছে। অকারণে বাইরে বের হওয়া মানুষগুলোকে বুঁঝিয়ে আবার বাড়ি ফেরত পাঠানো হচ্ছে। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।
লকডাউন নিয়ে বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বলেন, মঙ্গলবার প্রশাসন থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। বুধবার পৌরসভা থেকে মাইকিং করে নাগরিকদের সতর্ক ও অবহিত করা হবে। লকডাউন এর সময়সীমা ২১ দিন বলবৎ থাকবে বলে তিনি জানান।
আরকে//
আরও পড়ুন