কুষ্টিয়ায় ১৮টি রেড জোনে লকডাউন শুরু
প্রকাশিত : ১২:৫০, ১৮ জুন ২০২০
কুষ্টিয়ায় অধিক করোনা কবলিত ১৮টি রেড জোনে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে লকডাউন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এসব এলাকায় আগামী ২১ দিন এ লকডাউন চলবে।
লকডাউনের অংশ হিসেবে এরই মধ্যে পৌর এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হাউজিং ডি, এ ও বি ব্লক, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কয়েকটি এলাকা এবং ভেড়ামারা পৌর এলাকার নওদাপাড়া ও ষোলদাগ এলাকার বেশ কয়েকটি রাস্তার প্রবেশ মুখে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছে, যাতে ওই এলাকায় কেউ বাইরে থেকে প্রবেশ বা বাইরে বের না হতে পারে। একইসঙ্গে ওই এলাকায় ওষুধের দোকান ছাড়া সবধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
কুষ্টিয়া সদর ও ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা জনিয়েছেন, ‘আজকের মধ্যেই রেড জোন ঘোষিত সবগুলো এলাকায় একইধরণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এসব পরিবারে নিত্যপ্রয়োজীয় দ্রব্যের যোগানের ব্যবস্থা করা হবে।’
এর আগে গত ১৪ দিনে করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যার ভিত্তিতে ওয়ার্ডগুলোকে তিন শ্রেণিতে ভাগ করা হয়। এর মধ্যে কুষ্টিয়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড (থানাপাড়া ও কমলাপুর), ২নং ওয়ার্ড (কুঠিপাড়া), ৫নং ওয়ার্ড (চৌড়হাস, ফুলতলা), ৬নং ওয়ার্ড (হাউজিং), ৭নং ওয়ার্ড (কালিশংকরপুর), ১৬নং ওয়ার্ড (বাড়াদী ও কমলাপুর), ১৮নং ওয়ার্ড (মজমপুর ও উদিবাড়ী) এবং ২০নং ওয়ার্ড (কুমারগাড়া ও চেঁচুয়া) ও শহর লাগোয়া হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন রেডজোন ঘোষণা করা হয়।
অন্যদিকে, ভেড়ামারা পৌরসভার রেড জোন এলাকাগুলো হলো ১নং ওয়ার্ড ফারাকপুর, ২নং ওয়ার্ড ফারাকপুর ও নওদাপাড়া, ৩নং ওয়ার্ড নওদাপাড়া, ৪নং ওয়ার্ড নওদাপাড়া ও পূর্ব ভেড়ামারা, ৬নং ওয়ার্ড কলেজপাড়া, ৮নং ওয়ার্ড কুঠিবাজার, ও ৯নং ওর্য়াড বামনপাড়া।
এছাড়াও চাঁদগ্রাম এবং বাহিরচর ইউনিয়ন কে রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৭৩ জন। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। তবে আক্রান্তদের মধ্যে ইতিমধ্যে ৭১ জন সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন।
এআই//
আরও পড়ুন