বগুড়ায় একদিনেই ৬ জনের মৃত্যু
প্রকাশিত : ১০:২১, ২২ জুন ২০২০
বগুড়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। একইসময়ে ভাইরাসটির উপসর্গ নিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন আরও একজন। এতে করে জেলায় প্রথমবারের মতো একদিনে করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গে ৬ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটলো।
রোববার (২১ জুন) রাত ১০টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান।
করোনায় আক্রান্ত মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন, উপপ্রকৌশলী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন (৫৪), শিক্ষক সাফিউল আলম (৫৯), জাহনারা বেগম (৮০), জয় গোবিন্দ (৭০) এবং তারেক হোসেন (৪০)। আর উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ট্রাক শ্রমিক পরশ (৩৫)।
প্রকৌশলী সালাউদ্দিন বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলায় বসবাস করতেন। তার গ্রামের বাড়ি পাবনা জেলায়। তিনি ঢাকা সদর দপ্তরের রাজশাহী উন্নয়ন প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী ছিলেন। লকডাউনের পর থেকে তিনি বগুড়ায় পরিবারের সাথেই থাকতেন। এর আগে তিনি নারায়ণগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী ছিলেন।
পরীক্ষার জন্য টিএমএসএসে গত ৩১ মে নমুনা দেন তিনি। পরদিন প্রাপ্ত ফলাফলে তার করোনা পজেটিভ আসে। পরে ৪ জুন বিকেল ৪টার দিকে টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন। দীর্ঘ ১৭দিন চিকিৎসাধীন থেকে রোববার সকালে তিনি মারা যান। সালাউদ্দিনের দুই ছেলে করোনায় আক্রান্ত হলেও তারা চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন।
অন্যদিকে, একইদিন সকাল ৮টা ১০ মিনিটে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত সাফিউল আলম (৫৯) নামে এক শিক্ষক মারা যান।
সকাল ১১টার দিকে মৃত্যু হয় করোনাক্রান্ত জয় গোবিন্দের। তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায়।
বিকেল ৩টার দিকে মারা যান জাহানারা বেগম (৮০)। তার গ্রামের বাড়ি আদমদিঘী উপজেলায়. তিনি শহরের জলেশ্বরিতলায় বসবাস করতেন। গত ১৩ জুন শ্বাসকষ্ট নিয়ে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইশোলেশন ইউনিটে ভর্তি হন। পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ আসলে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে টিএমএসএস হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান করোনায় আক্রান্ত তারেক হোসেন (৪০)। হাসপাতালের মুখপাত্র আব্দুর রহিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তারেক পরিবহন ব্যবসায়ী ছিলেন। তার বাড়ি শহরের ফুলবাড়ি উত্তরপাড়া গ্রামে। গত ১৬ জুন তিনি করোনাক্রান্ত হলে এতদিন বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
আর করোনার উপসর্গ নিয়ে রোববার দুপুরের দিকে মারা যান দুপচাচিঁয়া উপজেলার বাসিন্দা পরশ।
এআই//
আরও পড়ুন