এক কিলোমিটার বেহাল রাস্তায় ভোগান্তিতে হাজারো মানুষ
প্রকাশিত : ১২:৩০, ২৪ জুন ২০২০
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা বুধল ইউনিয়ন। বুধল বাজার হাইস্কুল মোড় হয়ে বুধল গ্রামের দক্ষিণ পাড়া ছাদির বাড়ি পর্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার বেহাল দশা পরিণত হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দাসহ আশেপাশের কয়েটি গ্রামের মানুষ।
গত কয়েক বছর ধরে রাস্তাটি যানবাহন ও পথচারীদে চলাচলে অনুযোগী হওয়ায় অতিতিক্ত ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। জানা যায়, তেলীনগর, শান্তিনগর ও বুধল গ্রামের কয়েকশ ছাত্রছাত্রী এ রাস্তা দিয়ে স্কুলে প্রতিদিন যাতায়াত করে। ফলে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি হওয়ায় রাস্তাটির মাটি উঠে গিয়ে কাঁদা ও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। এতে পথচারীসহ শিক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।
এদিকে যাত্রাপথে রিকশা-ভ্যানের যন্ত্রাংশ ভেঙ্গে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। জনসাধারণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে খুব দ্রুত রাস্তাটি মেরামত করার প্রয়োজন।
গ্রামের রিকশা চালক ওসমান মিয়া জানান,‘রাস্তার বেহাল দশার কারণে গাড়ি চালিয়ে শান্তি পাই না। অল্প জায়গায় সময় লাগে বেশি। মাঝেমধ্যে গাড়ির যন্ত্রাংশেন সমস্যার দেখা দেয়। অনক সময় যাত্রী গাড়ি থেকে নামিয়ে খালি গাড়ি টানতে হয়।’
স্থানীয় বাসিন্দা প্রিন্সিপাল মাওলানা আবদুস সালাম শিবলী জানান, ‘এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার গাড়ি যাতায়ত করে, রাস্তাটি বুধল বাজার থেকে শান্তিনগর হয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক হাইওয়েতে গিয়ে সংযুক্ত হয়েছে। ফলে অনেক মালবাহী পিকআপ, সিএনজি, অটোরিকশাসহ আরো অনেক গাড়ি যাতায়াত করে এ রাস্তাটি দিয়ে।’
তিনি জানান, ‘বুধল বাজার হাইস্কুল মোড় থেকে বুধল গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার ছাদির বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তটি বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। রাস্তাটির এ অংশটুকু অতিক্রম করতে দীর্ঘ সময় লেগে যায় যানবাহনের। গ্রামের এ রাস্তাটি পাঁকা করে আমাদেরকে দুর্ভোগ থেকে মুক্ত করতে আবেদন জানাই স্থানীয় সরকারের কাছে।’
একই গ্রামের আরেক বাসিন্দা মণ মিয়া জানান, ‘আমরা অনেক দিন যাবত রাস্তাটি পাঁকা করার জন্য ইউনিয়ন অফিসের বর্তমান ইউপি সদস্য এবং চেয়ারম্যানকে জানিয়ে আসছি। চেয়ারম্যান, মেম্বার বছরের পর বছর আশ্বাস দিলেও তা আজও বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এর আগেও যারা চেয়ারম্যান হয়েছেন আমরা এ রাস্তাটির জন্য ইউনিয়ন অফিসে গিয়েছি তবে তারাও এ রাস্তার উন্নয়নে হাত দেননি। তাই, এখন আমাদের দাবি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রাস্তাটি মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করে দেয়া হোক। আমার এ দাবি শুধু আমার না এ গ্রামের প্রতিটি মানুষের।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বুধল ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল হক বলেন, ’এ রাস্তাটি নিয়ে আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে বহুবার উপজেলা থানা ইঞ্জিনিয়ারের কাছে আবেদন করেছি। প্রতিমাসে, প্রতি সপ্তাহে যাচ্ছি তবে আমার কথা আমলে নেয়নি। গত এক সপ্তাহ হলো আবারও এ রাস্তাটির বিষয়ে কথা বললে থানা ইঞ্জিনিয়ার জানান করোনা দূর হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘তুলানামূলকভাবে সদর উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নের তুলনায় বুধল ইউনিয়নে উন্নয়ন কম হচ্ছে, তাই আমার আকুল আবেদন সরকারের কাছে আমার এ বুধল ইউনিয়নে উন্নয়ন খাতে আরও অর্থ বরাদ্দ বাড়িয়ে দিয়ে উন্নয়ন করার সুযোগ করে দেওয়া হোক।’
এআই//
আরও পড়ুন