দুর্বৃত্তদের প্রশ্রয় দিলে ব্যবস্থা: কেসিসি মেয়র
প্রকাশিত : ১৩:২২, ২৬ জুন ২০২০
খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, ‘মোংলা বন্দরের সকল ক্ষতির কারণ শাহাবুদ্দিন ও মানিক গ্যাং। এদেরকে মোংলা থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিল, এখনও বিতাড়িত। এই সমস্ত দুর্বৃত্তদের যারাই প্রশয় দিবে তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতনকে জানানো হবে।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পর থেকে মোংলায় সুন্দর পরিবেশ আছে। সেই পরিবেশ নষ্ট হলে এখানকার চেয়ারম্যান কোনভাবেই তার পদে থাকতে পারবেন না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
আজ শুক্রবার সকালে মোংলা বন্দর শ্রমিক কর্মচারী সংঘ চত্বরে আমেরিকা প্রবাসী দীপংকর মৃধার পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
মেয়র বলেন, ‘শাহাবুদ্দিন ও মানিকরা ভদ্রভাবে চলবে বলেই এখানে তাদের থাকার অনুমতি দেয়া হয়েছিল। তাদের বিগত দিনের যে কার্যক্রম তা সাধারণ শ্রমিকদের বিপক্ষে, মোংলার বিপক্ষে, উন্নয়নের বিপক্ষে। কিন্তু বর্তমান যে বন্দর চেয়ারম্যান আসছে তিনি নাকি তাদের ইন্ধন দিচ্ছেন। এছাড়া শ্রম অধিদপ্তরকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে বর্তমান যে শ্রমিক ইউনিয়ন আছে এটিই বৈধ, আগের যে ইউনিয়ন সেটি অবৈধ।’
তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, ‘আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই মোংলার স্বার্থে এখানে যে চেয়ারম্যানই আসুক না কেন এই সকল দুর্বৃত্তদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করে তিনিই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন এবং এতে মোংলার উন্নয়ন ব্যাহত হবে। যেভাবে আমরা ইতিমধ্যে একটা সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছি, সেভাবেই মোংলা চলবে।’
এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাহাত মান্নান, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইকবাল বাহার চৌধুরীসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে পৌর শহরের ১ নম্বর জেটিতে জার্মান প্রবাসী সাঈদ শাকিল এবং ’কামরান এন্ড নেটওয়ার্ক’র আর্থিক সহযোগিতায় পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের ব্যবস্থাপনায় দক্ষিণ কাইনমারি ও কানাইনগর গ্রামের ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্তদের খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।
এ সময় পশুর রিভার ওয়াটারকিপার সাংবাদিক মো. নূর আলম শেখ, দক্ষিণাঞ্চল সেবা সংঘের সভাপতি এস এম এ মামুন, বাপা নেতা নাজমুল হক, জেলে সমিতির সভাপতি আব্দুর রশিদ, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ভলান্টিয়ার কমলা সরকার, মাহারুফ বিল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
এআই//
আরও পড়ুন