ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানিতে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৮:০৮, ২৬ জুন ২০২০ | আপডেট: ১৮:০৯, ২৬ জুন ২০২০

কয়েকদিনের অবিরাম বৃষ্টিপাত এবং উজানের ঢলে কুড়িগ্রামের ধরলা এবং ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। এছাড়াও জেলার ছোট-বড় অন্যান্য নদ-নদীর তিস্তা,গঙ্গাধর, দুধকুমারসহ সংকোষ নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায়  চরাঞ্চল এবং অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার নিচু বাড়িঘরে ইতিমধ্যে পানি উঠেছে। 

এছাড়া চরাঞ্চলের সব বাড়ির চার দিক বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পানি বন্দি হয়ে পড়েছে এসব এলাকার মানুষ। মূল স্থলভাগের সাথে নৌকা আর ভেলায় যোগাযোগ স্থাপন করছে তারা। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা ইউনিয়নের ইন্দ্রগড়, ধনিরামপুর, শৌলমারী, জালির চর,কাইয়ের চর, বল্লভের খাষ ইউনিয়নের ইসলামের চর, চর কৃঞ্চপুর,কামারের চর, নারায়নপুর ইউনিয়নের বেশিরভাগ নিন্ম চরাঞ্চল,নুন-খাওয়া ইউনিয়নসহ সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

এছাড়া ভূরুঙ্গামারী, চিলমারী, রৌমারী, রাজিবপুরসহ উলিপুরের কিছু কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার চলতি মৌসুমের ফসলি ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। ক্ষতি হয়েছে পাট, ভুট্রা,সবজি ও মাঠে কাজ করছে।এ পর্যন্ত দুই উপজেলার পরিসংখ্যান পাওয়া গেছে। যাতে ৩৭ হেক্টর আউশ, ৯৩ হেক্টর তিল এবং ৬ হেক্টর মরিচ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

কুড়িগ্রামের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.আরিফুল ইসলাম জানান,সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্রের চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
কেআই/ 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি