ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

পুকুরের পাড় ভেঙ্গে বিলীনের পথে ৩০ পরিবার

সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) সংবাদদাতা 

প্রকাশিত : ১৮:০৯, ২৬ জুন ২০২০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলাধীন সদর ইউনিয়নের স্বল্প নোয়াগাঁও গ্রামে পুকুরের পাড় ভেঙ্গে প্রায় ৩০টি বাড়িঘর বিলীন হতে চলেছে। 

জানা গেছে, এ পুকুরকে ঘিরে প্রায় কয়েকশ বছর আগে অত্র গ্রামে বসতি গড়ে উঠেছিল। পুকুরটি ব্যক্তি মালিকানাধীন থাকার পর প্রায় ১০ বছর পূর্বে এক রিয়েল স্টেট সিন্ডিকেটের কাছে এটি বিক্রি করে দেয়া হয়। সিন্ডিকেট দালালচক্র কিছু অংশ ভরাট করে কিছু টাকা হাতিয়ে নেয়। এরপর গ্রামের কিছু প্রভাবশালী টাকা পাওয়ার নামে জোরপূর্বক পুকুরে মাছ চাষ শুরু করে এবং পুকুরের পাড় না থাকায় ঘরবাড়ি ভাঙ্গতে থাকে। ইতিমধ্যে ২/৩টি বসতঘর পুকুরে বিলীন হয়ে গেছে। অর্থাভাবে এ ঘরগুলো এখনো উঠানো সম্ভব হয়নি। 

এদিকে পুকুরের পাড় বেঁধে মাছ চাষের কথা বললে, মাছ চাষিরা হুমকি দিয়ে থামিয়ে দেয়। গতকালও কয়েকটি ঘর ভেঙ্গে পড়েছে। বৃষ্টি হলে বাকি ৩০টি ঘরও ভেঙে পড়বে। ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে আবেদন জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা। 

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এস এম মোসা বলেন, ‘এটি খুবই দুঃখজনক। সরেজমিনে পরিদর্শন করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ফারজানা প্রিয়াংকাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।’

পুকুরের মালিক নতুন হাবলী (আখন্দ বাড়ি) শুক্কর ডিলারের ছেলে মুক্তার হোসেনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন , ‘পুকুরটি ভরাট করে ফেলব ‘

অথচ গ্রামবাসী জানায়, ‘ভরাট করার কথা ১০ বছর ধরেই বলে আসছে। কিন্ত একে একে ৫/৭টি ঘর এরইমধ্যে পুকুরে বিলীন হয়ে গেছে।’

মাছ চাষি মোশাররফ জানায়, ‘আমি মুক্তার মিয়ার কাছে ৮ লাখ টাকা পাই, এজন্য পুকুরে মাছ চাষ করছি। কারো বাপের ক্ষমতা নেই আমাকে কিছু বলে।’

এদিকে ভুক্তভোগী গ্রামবাসীর বক্তব্য, ‘এটি এখন আর পুকুর নেই, সর্বনাশা নদীতে পরিণত হয়েছে।’

গত ২২ তারিখে উদীচী, সরাইল শাখার সভাপতি শরীফ উদ্দিনের বাপ দাদার স্মৃতিবিজড়িত বসত ঘরটি সম্পূর্ণ পুকুরে পড়ে গেছে।

তিনি বলেন, ‘পুকুরে মাছ চাষিরা খুবই প্রভাবশালী এবং দস্যু প্রকৃতির। তাই উপজেলা নিবার্হী অফিসার বরাবর গ্রামবাসীদের নিয়ে আবেদন করেছি , তিনি যে ব্যবস্থা নিবেন তাতেই সন্তুষ্ট।’

এআই//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি