ঠাকুরগাঁওয়ে উজানের পানিতে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত,পানিবন্দী ৫`শ পরিবার
প্রকাশিত : ১৯:০৯, ২৬ জুন ২০২০
টানা বৃষ্টি আর উজানের পানির ঢলের কারণে ঠাকুরগাঁওয়ে টাঙ্গনসহ অন্যান্য নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে নদীর তীরে বসবাসরত প্রায় পাঁচ'শ পরিবারের ঘর-বাড়ি প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী পরিবারগুলো শিশু ও প্রবীণদের নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। ভুক্তভোগীরা এই দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পেতে জরুরী ভিত্তিতে সরকারি সহায়তা চেয়েছেন। আর জেলা প্রশাসন প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
গত বুধবার রাত থেকে শুক্রবার দুপুর অবধি ঠাকুরগাঁওয়ে অবিরাম মুষলধারে বৃষ্টি ঝড়েছে। সেই সঙ্গে উজানের পানির ঢলের কারণে স্থানীয় টাঙ্গন নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে এবং ইতোমধ্যে শহরের পার্শ্বে নিম্নাঞ্চলের খালপাড়া, ডিসি বস্তি, জলেশ্বরিতলা, হঠাৎপাড়াসহ কয়েকটি মহল্লা প্লাবিত হয়েছে। শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থার ত্রুটি থাকায় এবং নদীর তীরে ব্লক ও বোল্ডার স্থাপন করে বাঁধ নির্মাণ না করায় প্রায় প্রতিবছরই বর্ষা শুরু হলে এলাকাবাসীকে বাড়ি ঘর ছেড়ে বিভিন্ন স্কুল-কলেজে আশ্রয় নিয়ে চরম দুর্ভোগে ভোগেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।
দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রদীপ কুমার এ বিষয়ে সরকারের সদয় দৃষ্টিকামনা করেছেন। তবে এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য ঠাকুরগাঁও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রবিউল ইসলামের দপ্তরে গেলে তাকে অফিসে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনে প্রথমে কল ঢুকলেও তিনি কল ধরেননি। পরে একাধিবার তার ফোনে কল ঢোকানোর চেষ্টা করলে তিনি কল ফরওয়ার্ডিং করে রাখেন।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে সমন্বয় করে বৃষ্টি ও উজানের পানির ঢলে পানিবন্ধীদের জন্য দুইশ’মেট্রিক চাল বরাদ্দসহ আশ্রয়হীনদের জন্য স্থানীয় স্কুল-কলেজগুলো খোলা রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
বর্ষা শুরু হলেই প্রতিবছর যেন পানিবন্ধী হয়ে দুভোর্গে না পড়েন-এমনই স্থায়ী ব্যবস্থার দাবি করেছেন নদীর তীরে বসবাসকারীগণ।
কেআই/
আরও পড়ুন