রাজশাহীর আট জেলার জন্য আইসিইউ মাত্র ২৩টি
প্রকাশিত : ১৮:০৫, ২৯ জুন ২০২০ | আপডেট: ১৮:০৯, ২৯ জুন ২০২০
রাজশাহী বিভাগের আট জেলার করোনায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য ভেন্টিলেটার সুবিধাসহ আইসিইউ বেড রয়েছে ২৩টি। এর মধ্যে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ১৫টি এবং বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ৮টি। এর মধ্যে আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত রামেক হাসপাতালের ১৫টির মধ্যে ১০টি ফাঁকা পড়ে রয়েছে।
এছাড়াও বিভাগের আট জেলায় আইসোলেশন বেড রয়েছে ১ হাজার ৬২০টি। এর মধ্যে করোনাক্রান্ত রোগী রয়েছে ৫৬২ বেডে। ফাঁকা পড়ে রয়েছে ১ হাজার ৫৮ বেড। সোমবার দুপুরে রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তারের পরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ‘সোমবার সকাল পর্যন্ত রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২৫৮ জনে। এর মধ্যে মারা গেছেন ৭৩ জন এবং সুস্থ হয়ে১ হাজার ৪৫ জন স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৪ হাজার ১৪০ জন। এর মধ্যে ৫৬২ জন আছেন হাসপাতাল আইসোলেশনে। বাকিরা হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন।’
ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য বলেন, ‘রাজশাহী বিভাগের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় সরকারি হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য আইসোলেশন শয্যা রাখা হয়েছে। বিভাগের মোট আইসোরেশন শয্যার সংখ্যা ১ হাজার ৬২০টি। এর মধ্যে সোমবার সকাল পর্যন্ত ৫৬২ শয্যায় রোগী ভর্তি রয়েছেন। ফাঁকা রয়েছে ১ হাজার ৫৮টি।’
এদিকে, রাজশাহী সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হক বলেন, ‘রাজশাহী জেলায় এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৭১ জনে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত নগরে (৩৮১ জন)। এ পর্যন্ত জেলায় মারা গেছেন সাতজন এবং ৬৮ জন সুস্থ হয়েছেন। রাজশাহীতে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৪৯৬ জন। এর মধ্যে পাঁচজন প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘রাজশাহীতে আইসোলেশন বেড রয়েছে ২৯৫টি। এর মধ্যে নয়টি উপজেলায় ১১৫টি। আর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মিশন হাসপাতাল ও সংক্রমক ব্যাধি হাসপাতাল মিলে ১৮০টি।’
ডা. এনামুল হক বলেন, ‘সোমবার সকাল পর্যন্ত রাজশাহীতে আইসোলেশন বেডে রোগী রয়েছে পাঁচজন। ফাঁকা রয়েছে ২৯০টি। আর রাজশাহীতে ভেন্টিলেটার সুবিধাসহ আইসিইউ ১৫টির মধ্যে এখন পর্যন্ত পাঁচটি বেডে রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাকি ১০টি বেড খালি রয়েছে।’
এআই/এমবি
আরও পড়ুন