মোংলায় ইউপি সদস্যসহ ৫ জনকে কুপিয়ে জখম
প্রকাশিত : ১৬:৩৫, ৫ জুলাই ২০২০ | আপডেট: ১৭:৩৭, ৫ জুলাই ২০২০
মোংলায় সালিশি বৈঠককে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের অতর্কিত হামলায় স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ অন্তত ৫ জনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৩ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে আহত আলমগীর মল্লিকের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (৪ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টায় মালগাজী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সাবেক ইউপি সদস্য রেজি সরকারসহ সাতজনকে আসামি করে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার চাঁদপাই ইউনিয়নের মালগাজী গ্রামের মারিয়া সরকারের ছেলে পার্থ সরকার (২৫) একই এলাকার জনৈক ব্যক্তির মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে ওই মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়েন এবং একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে পার্থ সরকার ও মেয়েকে স্ত্রী এবং স্ত্রীর ভূমিষ্ট কন্যাকে স্বীকৃতি না দেয়ার কারণেই শনিবার সন্ধ্যার পর সালিশ বৈঠক বসে। চাঁদপাই ইউনিয়ন পরিষদের এ সালিশিতে পার্থকে ওই মেয়েকে স্ত্রী বলে মেনে নেয়ার এবং বিয়ে করার সিদ্ধান্ত হয়। সালিশে ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা মো.তারিকুল ইসলাম, স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর মল্লিক, মিঠাখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইসরাফিল হাওলাদারসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।
সালিশি বৈঠকে পার্থকে বিয়ের সিদ্ধান্ত দেয়া হলে তাৎক্ষণিক তার পরিবার মেনে নেয়। পরবর্তীতে এ নিয়ে তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। সালিশ শেষে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চলে এসে রাত সাড়ে ৯টার দিকে মালগাজী মিশন বাড়ীর মোড়ে সালিশ বৈঠকে থাকা ইউপি সদস্য ও তার সঙ্গের লোকজনের উপর হামলা চালায় পার্থ গংরা।
এ সময় পার্থ,পার্থর মা মারিয়া, খালা চন্দনা, খালাতো ভাই সেতুসহ বেশ কয়েকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মেম্বর জাহাঙ্গীরসহ ৫ জনকে জখম করে। পরবর্তীতে আহতদের উদ্ধার করে রাতেই তাদেরকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আহত আলমগীর মল্লিক, রাহাত মল্লিক, জাহিদ মল্লিককে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি মেম্বর জাহাঙ্গীর মল্লিক বলেন, সালিশ মনোপুত না হওয়ায় পার্থ ও তার মা মারিয়া এবং সাবেক ইউপি সদস্য রেজি সরকারসহ অন্যান্যরা আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে এবং কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে। এরমধ্যে আমার ভাই আলমগীর মল্লিকের অবস্থা খুবই খারাপ, তাকে এবং রাহাত ও জাহিদকে খুলনায় পাঠানো হয়েছে।
এঘটনায় মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল, তারা সব কিছু দেখে ও শুনে এসেছে। অভিযোগ পেয়েছি এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান।
কেআই/
আরও পড়ুন