আন্তর্জাতিক বজ্রপাত সুরক্ষা দিবস উপলক্ষে বাসার আলোচনা সভা
প্রকাশিত : ১৯:০৫, ৭ জুলাই ২০২০ | আপডেট: ১৩:৩৯, ৯ জুলাই ২০২০

বজ্রপাত নিয়ে আলোচনা দুর্গাপুর, কাপাসিয়া।
আন্তর্জাতিক বজ্রপাত সুরক্ষা দিবসকে কেন্দ্র করে ‘বাসা’ সংস্থার প্রধান কার্যালয়সহ সারাদেশে ১৯ টি জেলার ৭৫ টি শাখা অফিসে বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্প্রতি বাসার প্রধান কার্যালয়ে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন মোঃ বদিউজ্জামান- চেয়ারম্যান, বাসা, বিশেষ অতিথি এ.কে. এম সাইফুল ইসলাম, পরিচালক (কর্মসূচি), বাসা এবং সভায় সভাপতিত্ব করেন বাসা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আ. ক. ম. সিরাজুল ইসলাম।
আলোচনা সভায় বজ্রপাত বিষয়ে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা, সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ ও বাসা সংস্থার বজ্রপাত সচেতনতায় বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে হালনাগাদ তথ্য উপস্থাপন করা হয়। বিভিন্ন সংস্থার হিসাব অনুযায়ী ২০১০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বজ্রপাতে ২ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন এবং ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসে শুধু বজ্রপাতেই মারা গেছেন ৮২ জন। সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বজ্রপাতের সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে আছে বাংলাদেশ। এই দুর্যোগ মোকাবেলায় ২০১৪ সাল থেকে দেশের ১৯ টি জেলায় গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে বাসা সংস্থা বজ্রপাত সচেতনতায় কাজ করে যাচ্ছে।
বাসা’র নির্বাহী পরিচালক আ. ক. ম. সিরাজুল ইসলাম বলেন “বজ্রপাত একটি জাতীয় দুর্যোগ। সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বজ্রপাতের প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব। বাসা সংস্থা সচেতনতা কার্যক্রমের মাধ্যমে এই দুর্যোগ মোকাবেলায় কাজ করে যাবে।”
বাসা সংস্থার পরিচালক (কর্মসূচী) এ. কে. এম. সাইফুল ইসলাম বলেন “বর্তমানে সচেতনতা কার্যক্রম শুধু বাসা’র কর্ম এলাকায় সীমাব্ধ আছে। ভবিষ্যতে সারাদেশে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এজন্য বাসা বজ্রপাত সচেতনতা কেন্দ্র (বিএলএসি) চালু করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।”
এছাড়াও বাসা সংস্থা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বজ্রপাত গবেষণা নেটওয়ার্ক ও সংস্থার সাথে যুক্ত আছে। গত ২৫ ও ২৬ জুন, ২০২০ ইং তারিখে সাউথ এশিয়ান লাইটনিং নেটওয়ার্ক (সালনেট) আয়োজিত অনলাইন আলোচনা সভায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর, ডিজেস্টার ফোরাম, সেভ দ্যা সোসাইটি থান্ডারস্টর্ম এওয়ারনেস ফোরামের (এসএসটিএএফ) এর সাথে বাসা সংস্থাও অংশগ্রহন করে। বাসা সংস্থার বজ্রপাত বিষয়ক উপদেষ্টা খ্যাতিমান বজ্রপাত বিশেষজ্ঞ ড. মুনির আহমেদ উক্ত সভায় অনলাইনে অংশগ্রহণ করে বলেন “বজ্রপাতে মৃত্যুহার কমিয়ে আনতে সচেতনতার বিকল্প নেই। এজন্য পাঠ্যপুস্তক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বজ্রপাত সচেতনতার বিষয় যুক্ত করার জন্য সরকারের প্রতি আবারও আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ও শিক্ষার্থীদের বজ্রপাত গবেষণায় যুক্ত করা গেলে বজ্রপাত সচেতনতায় আরও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব হবে”। আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাসা সংস্থার বিভিন্ন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ও বিএলএসি’র প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।
এসি
আরও পড়ুন