দিনাজপুরে চালকলগুলো পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি
প্রকাশিত : ১৮:৫২, ৯ জুলাই ২০২০
দিনাজপুরে চালকলগুলো পরিবেশ দূষণ করে চলেছে। মিলের কালো ধূয়া ও বাতাসে ভেসে ধানের তুষ ও ছাই জনস্বাস্থ্য মারাত্মক হুমকির মধ্যে পড়েছে।
দিনাজপুর জেলায় অটো রাইস মিল রয়েছে ২৮৭টি এবং হাসকিং মিল রয়েছে ১ হাজার ৯৩৮টি। শহরের পুলহাট এবং নয়নপুর, মির্জাপুর, গোশাইপুরে অটো ও হাসকিংসহ মিল রয়েছে প্রায় ১৭৫টি। চালকলগুলো বিক্ষিপ্তভাবে স্থাপন হওয়ায় এলাকার পরিবেশ প্রতিনিয়ত দূষিত হয়ে পড়ছে।
বিশেষ করে অটো রাইস মিলগুলোর কালো ধুয়া, বাতাসে ভেসে আসা ছাই মারাত্মকভাবে জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়াও ধান সিদ্ধ করা পচা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি প্রবাহিত হয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হচ্ছে।
এ বিষয়ে ক্রিসেন্ট কিন্ডার গার্টেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ জানান, প্রধান সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় চালকলের ছাই আমার চোখে পড়ে। এ সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পান। এতে আমার চোখের মারাত্মক ক্ষতি হয়। আমি এখনো চিকিৎসা নিচ্ছি।
সাংবাদকর্মী মোর্শেদুর রহমান জানান, তিনিও সম্প্রতি এ ধরনের সমস্যায় পড়েন। তাকে চোখ নিয়ে প্রায় দেড় মাস চিকিৎসা নিতে হয়েছে।
দিনাজপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মিজানুর রহমান জানান, আমরা প্রতিনিয়ত এ বিষয়গুলো তদারকি করছি। চালকল মালিকদের বলা হয়েছে মিলগুলোতে ডাষ্ট কালেক্টর বসাতে। যাতে বাতাসে ছাই ভেসে যেতে না পারে। এছাড়াও ধান সিদ্ধ করা পানি নিজ মিল এলাকাতেই ভূ-গর্ভে নিঃসরণ করার পদ্ধতি চালু করা।
তিনি জানান, এখন পর্যন্ত এসব পদ্ধতিগুলো কোন মিল মালিকই বাস্তবায়ন করেননি। তবে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে প্রতিনিয়ত চাপ দেয়া হচ্ছে।
এদিকে পুলহাটের কাঞ্চন অটো চালকলের মালিক মো. মোসাদ্দেক হোসেন চৌধুরী জানান, পরিবেশ অধিদপ্তর আমাদেরকে পরিবেশ রক্ষায় কতগুলো শর্ত দিয়েছেন, তা আমরা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় রয়েছি।
এমবি//
আরও পড়ুন