নওগাঁয় শিক্ষক-পুলিশ-স্বাস্থ্যকর্মীসহ আক্রান্ত আরও ৪৮
প্রকাশিত : ১৬:২৪, ১১ জুলাই ২০২০ | আপডেট: ১৬:২৭, ১১ জুলাই ২০২০
নওগাঁয় আরও ৪৮ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজন রয়েছেন। এছাড়া চারজন চিকিৎসক-নার্স, এক শিক্ষক ও পুলিশ সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ৬৭৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে রতন দাস (৬৫) নামে নওগাঁ শহরের পাটালীমোড় মহল্লার পল্লী চিকিৎসক করোনা উপসর্গে মারা যাওয়ার একদির পর তার নমুনায় করোনা চিহ্নিত হয়েছে। গত ৯ জুলাই ওই ব্যক্তি উপসর্গ নিয়ে মারা যান। এ নিয়ে জেলায় করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১০ জনে।
আজ শনিবার দুপুরে সিভিল সার্জন ডা. আকন্দ মো. আখতারুজ্জামান আলাল এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, গতরাতে ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি অ্যান্ড মেডিসিন রিসার্চ সেন্টার ল্যাব থেকে প্রাপ্ত ৩৩২টি নমুনায় ৪৮ জনের করোনা ধরা পড়ে। এর মধ্যে মৃত একজনেরও ফলাফল পজেটিভ এসেছে।
এদিকে নিয়ামতপুর উপজেলার ঘুঘুডাঙ্গা গ্রামে একই পরিবারের পাঁচজনের শরীরে করোনা ধরা পড়েছে। তাদের মধ্যে চার বছর বয়সী একটি শিশুও রয়েছে। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে নওগাঁ সদরে ৮, পত্নীতলায় ১০,আত্রাইয়ে ৩,সাপাহারে ১০, ধামইরহাটে ৫, নিয়ামতপুরে ৫,বদলগাছীতে ৩, মান্দায় ২, মহাদেবপুর ও পোরশায় একজন।
ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মঞ্জুর-ই মোর্শেদ জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে হোম কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে ১৬ জনকে। এদের মধ্যে রানীননগর উপজেলায় ৩, আত্রাইয়ে ২, মহাদেবপুরে ১, মান্দায় ২, ধামইরহাটে ২ জন, সাপাহারে ১ এবং পোরশা উপজেলায় ৪ জন। এ সময় ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ৪৫ জনকে। বর্তমানে এ ব্যবস্থায় রয়েছেন ১ হাজার ৬৯৯ জন। আর এখন পর্যন্ত ৪৮০ জন করোনা মুক্ত হয়েছেন।
তিনি জানান, ‘নতুন শনাক্তদের বেশির ভাগের শরীরে জটিল কোন উপসর্গ নেই। তাদের বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কারো অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে এবং তাদের সবার নমুনা সংগ্রহ করা হবে।’
জেলায় সবচেয়ে বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে সদরে। যেখানে এখন পর্যন্ত করোনার শিকার হয়েছেন ২৫৯ জন। তাদের প্রায় ৯০ শতাংশ পৌর এলাকার বাসিন্দা।
এআই//এমবি
আরও পড়ুন