সুনামগঞ্জে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে
প্রকাশিত : ১৬:৩০, ১৪ জুলাই ২০২০
উজানে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় সুরমা নদীসহ জেলার প্রধান নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে সুরমা নদীর পানি এখনও বিপদসীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার সাথে শাল্লা, ছাতক, দোয়ারাবাজার, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর এখনও সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
সদর উপজেলার লালপুর ও রাধানগর, রসুলপুর গ্রামের বেশির ভাগ ঘরবাড়ি এখনো পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। এদিকে সুনামগঞ্জ শহরের শান্তিবাগ, নতুনপাড়া, পশ্চিম হাজীপাড়া, তেঘরিয়া, বড়পাড়া, কালীপুর মরাটিলা হাছননগরসহ সকল আবাসিক এলাকা পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। বসতবাড়িতে বন্যার পানিতে ডুবে থাকায় মানুষ পড়েছে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে।
প্রশাসনের বন্যা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্রে জানা যায়, জেলার ১১টি উপজেলার ৮৪টি ইউনিয়ন ও চারটি পৌরসভার ২০টি ওয়ার্ডে ৩২৭টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে ২৮৮১টি পরিবারের ১১ হাজার ৫২৪ জন নারী-পুরুষ ও শিশু আশ্রয় নিয়েছেন। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ১ লাখ ২ হাজার ৭২৯টি পরিবার। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা শুকনো খাবার ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে । আজ পর্যন্ত ৮৫৫ মেট্রিক টন চাল ৪৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা ১৯০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের বন্যা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ৫ হাজার ২২২টি, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ১১ হাজার ৫৩৫টি, তাহিরপুর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ২৬ হাজার ৭৮০টি, জামালগঞ্জ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ১০ হাজারটি, ছাতক উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের ২ হাজার ৩৫০টি, দোয়ারাবাজার উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ১০ হাজার ২২২টি, শাল্লা উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের ২ হাজার ৩০০টি, দিরাই উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ১ হাজারটি, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ১১ হাজার ৭৫০টি, ধর্মপাশা উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ১৫ হাজার ৭০০টি, জগন্নাথপুর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ৩ হাজার ৬০০টি ও সুনামগঞ্জ পৌরসভার ৫৩২টি, ছাতক পৌরসভার ৯২৫টি,দিরাই পৌরসভার ২৫১টি ও জগন্নাথপুর পৌরসভার ৫৬২টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্তসহ সারা জেলায় মোট ১ লাখ ২ হাজার ৭২৯টি পরিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সবিবুর রহমান জানান, উজানে বৃষ্টি কম হওয়ায় নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে বৃষ্টি না হলে পরিস্থিতি উন্নতি হতে পারে। তবে ধীর গতিতে পানি কমছে।
কেআই/
আরও পড়ুন