সিরাজগঞ্জে বন্যার আরও অবনতি, চরম দুর্ভোগ দেড় লাখ মানুষ
প্রকাশিত : ১১:১৬, ১৫ জুলাই ২০২০
যমুনার অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে সিরাজগঞ্জের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। নদীর পানি আজ বুধবার সকালে সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে ২৮ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৬৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এ অবস্থায় জেলার চরাঞ্চল কাজিপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর, চৌহালী ও সদর উপজেলার বানভাসি দেড় লক্ষাধিক মানুষ এখন চড়ম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এদিকে, এনায়েতপুর-সিরাজগঞ্জ ওয়াপদা বাধের পশ্চিম পাশের যমুনার শাখা নদী হুরাসাগর, করতোয়া, গুমানী, বড়াল, আত্রাই নদ-নদীর পানি পাল্লা দিয়ে বাড়তে শুরু করেছে।
এছাড়া যমুনা নদী অববাহিকার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের বন্যাকবলিত ৩৩ ইউনিয়নের ২১৬টি গ্রামের ৩৪ হাজার ৬৮৪টি পরিবারের ১ লাখ ৬০ হাজার বানভাসি মানুষ খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, জ্বালানি, শিশু খাদ্য ও গো খাদ্যের সংকটসহ নানা দুর্ভোগে মানবতার জীবনযাপন করছে।
ভাঙ্গন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত পোহাচ্ছে যমুনা নদী তীরবর্তী মানুষদের। এর মধ্যেই নদী ভাঙনে কয়েশ পরিবারের ঘরবাড়ি, বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হওয়ায় সর্বশান্ত হয়েছেন।
বিশেষ করে চৌহালী উপজেলার সদিয়াচাঁদপুর ইউনিয়নের বেতিল চর, বিনদহ, আশাননগর এলাকার ৪ শতাধিক ঘরবাড়িতে ১ থেকে ৩ ফুট পর্যন্ত পানি বিরাজ করায় মাচা বানিয়ে থাকার জায়গা খুঁজছেন। নিজেদের খাদ্য সংকটের পাশাপাশি গবাদি পশু নিয়েও বিপাকে পড়েছেন এই মানুষগুলো। টানা দশদিন ধরে পানি বন্দি হলেও মিলেনি কোন ত্রাণ সহায়তা।
এদিকে যমুনা নদীতে আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
এআই//এমবি
আরও পড়ুন