চৌহালীর চরে বন্যার্তদের দুর্ভোগ চরমে
প্রকাশিত : ২১:৪৭, ১৬ জুলাই ২০২০
সিরাজগঞ্জের চৌহালীর চরাঞ্চলজুড়ে বন্যার্তদের হাহাকার চলছে। উপজেলার স্থল, ঘোরজান, সদিয়াচাঁদপুর, উমারপুর, খাসকাউলিয়া, খাসপুকুরিয়া, বাগুটিয়া ইউনিয়নের প্রত্যেকটি গ্রামে বিরাজ করছে বন্যার পানি। এসব ইউনিয়নের কয়েক হাজার ঘর-বাড়িতে ১ থেকে ২ ফুট পানিতে সয়লাভ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে জেলার সর্ব দক্ষিণের উমারপুর ইউনিয়নের মিনিদিয়া, শৈলজানাসহ আশপাশের একটি চরে পরিদর্শন করে দেখা যায়,অধিকাংশ ঘরবাড়িতে বন্যার পানি বিরাজ করায় মানুষের দুর্ভোগের সীমা নেই। অনেকেই মাচা করে কোন রকমে করছে বসবাস। টিউবয়েল তলিয়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাব। পাশাপাশি কাজ না থাকায় কোন রকমে খেয়ে না খেয়ে চলছে তাদের সংসার।
মিনিদিয়া চরের আব্দুল জব্বারের স্ত্রী বৃদ্ধা মেহের-উন-নেছা আক্ষেপ করে জানান, গত সপ্তাহ ধরে বাড়িতে পানি। কেউ কোন সহযোগিতা কিংবা খোঁজও নেয়নি। দুপুরের খাবার নেই। তার মত একই অবস্থা পুরো চরবাসীর।
এ ব্যাপারে চৌহালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মজনু মিয়া জানান,বন্যায় উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের জন্য প্রায় ৯৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। দ্রুত বিতরণ শুরু হলে মানুষের কিছুটা অভাব কমবে।
এদিকে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাধের হার্ডপয়েন্ট ২০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৮৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলাবাসীকে সতর্ক করে পানি আরও বাড়ার ইঙ্গিত তাদের।
অপরদিকে চৌহালী উপজেলার উত্তর খাসকাউলিয়া গ্রামে ছাবিয়া খাতুন (২) নামে এক শিশু বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছে। সে এলাকার আবু সাইদের মেয়ে।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়িতে থাকাবস্থায় উঠানে আসা বন্যার পানিতে হঠাৎ সকলের অজান্তে পড়ে যায়। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে তাকে উঠান থেকে উদ্ধার করে চৌহালী হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। এঘটনায় এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া বিরাজ করছে।
কেআই/
আরও পড়ুন