অতি বৃষ্টিতে চরম দুর্ভোগ, ভেসে গেছে পশু বিক্রির স্বপ্ন
প্রকাশিত : ১৩:৪৯, ২১ জুলাই ২০২০
সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি সামান্য কমলেও বিপদসীমার অনেক উপর দিয়েই বইছে। ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অপরিবর্তিত রয়েছে। এরই মধ্যে মুষলধারে অতি বৃষ্টিতে মরার উপর খরার ঘা হয়ে চরম দুর্ভোগে বন্যার্তরা। ফলে, আসন্ন ঈদে কৃষক ও খামারিদের পশু বেচার স্বপ্নও ভেসে গেছে বন্যার বানিতে।
বিশেষ করে যারা বাঁধ ও উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়ে পলিথিনের তাবু টানিয়ে বসবাসের ঠাঁই করে নিয়েছেন, অতি বৃষ্টিতে তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। জেলার সোয়া দুই লাখ বানভাসি অসহায় মানুষদের জ্বালানির অভাবে রান্না করার কোন উপায় নেই। শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, শিশু খাদ্য ও ওষুধপাতির অভাব ও পয়ঃনিষ্কাশন সমস্যায় মানবতার জীবনযাপন করছেন তারা।
অন্যদিকে ঘরে পানি থৈই থৈই, নিজেদেরই থাকা-খাওয়ার উপায়ও নেই, তার ওপর গবাদি পশু নিয়ে বেকায়দায় পানিবন্দীরা। বানে ভেসে যাচ্ছে কৃষক ও খামারিদের পশু বেচার স্বপ্ন।
এদিকে, গত ১২ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি কমেছে মাত্র ৩ সেন্টিমিটার ও কাজিপুর পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার। যমুনার পানি সামান্যই কমে আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে শহর রক্ষাবাঁধের হার্ডপয়েন্টে ৬৯ সেন্টিমিটার ও কাজিপুর পয়েন্টে ৭৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
একই সাথে তীব্র নদী ভাঙনে আতঙ্কে দিন পার করছে যমুনাপাড়ের মানুষেরা। দুদফা ভাঙনে জেলার উত্তরে সিরাজগঞ্জ সদরের শিমলা স্পার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার পর দক্ষিণে সোমবার এনায়েতপুরের বেতিল স্পার-১ এর ৭০ মিটার এলাকা যমুনার তীব্র স্রোতে ধসে গেছে।
এআই//এমবি
আরও পড়ুন