উদ্বোধনের অপেক্ষায় সীতাকুণ্ড মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স
প্রকাশিত : ২২:৪৯, ২২ জুলাই ২০২০ | আপডেট: ২২:৫৩, ২২ জুলাই ২০২০
অবশেষে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে সীতাকুণ্ড উপজেলা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নির্মিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভাতাসহ নানা সুযোগ-সুবিধা পেয়ে আসছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সূর্য সন্তান মুক্তিযোদ্ধারা। এজন্য যে সমস্ত প্রদক্ষেপ সরকারি অর্থে প্রক্রিয়াধীন তার মধ্যে অন্যতম মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স।
দেশের অন্যান্য থানার ন্যায় সীতাকুন্ড উপজেলায় সরকারি অর্থে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়েছে। দানকৃত ১০ শতক জায়গার উপর ৫তলা ভবন নির্মাণের কাজটি করেছেন স্থানীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিপা কনস্ট্রাকশন। কমপ্লেক্স নিমার্ণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিল উপজেলা প্রকৌশলী অফিস।
উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ১ কোটি ৯১ লাখ ৮৩ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৫তলা বিশিষ্ট ভবনের তৃতীয় তলা পর্যন্ত ৭৫০০ বর্গফুটের দালানের নিচ তলাতে দোকান, ১ম তলায় সেমিনার হল ও ২য় তলায় উপজেলা কমান্ড অফিসসহ পর্যাপ্ত পার্কিং ব্যবস্থা থাকবে।
বীরমুক্তিযোদ্ধা মনিরুল ইসলাম বাবুল জানান, মুক্তিযোদ্ধাদের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবী স্থায়ী মুক্তিযোদ্ধা ভবন। পৌরসদরস্থ সীতাকুণ্ডের মনোরম পরিবেশে সরকারি অর্থে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মান হচ্ছে দেখে অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাদের মতো আমিও আনন্দিত।
মুক্তিযোদ্ধা জহির উদ্দিন ফারুক জানান,কমপ্লেক্সটি নিমার্ণের শুরু থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন সাবেক কমান্ডার মো. আলীম উল্ল্যাহ ভূঁইয়া। নির্মানাধীন অবস্থায় কমান্ডার আলীম উল্ল্যার মৃত্যু এবং বর্তমান করোনাকালীন দুঃসময়ে উদ্বোধন বিলম্বিত হলেও শীঘ্রই কমপ্লেক্সটি উদ্বোধনের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদেরকে আলোর মুখ দেখাবে।
পার্শ্ববর্তী সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবের সভাপতি সৌমিত্র চক্রবর্ত্রী বলেন "মুক্তিযুদ্ধা কমপ্লেক্সের পাশে অনতি বিলম্বে আরো একটি দৃষ্টিনন্দন আধুনিক প্রেসক্লাব ভবন নির্মাণ করা হবে। এতে করে দৃষ্টিনন্দন দুটি প্রতিষ্ঠান পাশাপাশি অবস্থান করলে সীতাকুণ্ড পৌরসদরের সৌন্দর্য ও গুরুত্ব আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আমি আশাবাদী।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মের্সাস রয়েল এসোসিয়েশনের এর প্রজেক্ট প্রতিনিধি সাইফুদ্দিন আহাম্মেদ বলেন,‘কাজের বাজেটের সাথে মিল না থাকায় এবং ভৌগোলিকভাবে কমপ্লেক্সটি প্রতিকূলস্থানে অবস্থিত হওয়ায় কাজের অগ্রগতিতে শুরু থেকেই কিছুটা সমস্যার সম্মুখিন হয়েছি। তবুও সমস্যা মোকাবেলা করে কমপ্লেক্সটির নির্মাণ খুব শীঘ্রই শেষ করে একটি সুন্দর দৃষ্টিনন্দন মুক্তিযোদ্ধা ভবন উপহার দিতে পারব বলে আশা করছি।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিলম্ব হলেও কমপ্লেক্সটির নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের পথে। শীঘ্রই মুক্তিযোদ্ধাদের কমপ্লেক্সটি বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
কেআই/
আরও পড়ুন