সিরাজগঞ্জে বন্যার ব্যাপক অবনতি, মিলছে না ত্রাণ
প্রকাশিত : ১১:১৪, ২৪ জুলাই ২০২০
সিরাজগঞ্জে তৃতীয় দফায় যমুনার পানি বৃ্দ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে জেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও ব্যাপক অবনতি হয়েছে। এতে করে পানিবন্দী প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মানুষ চরম খাদ্য সংকটে ভুগছেন। সরকারি ত্রাণ অপ্রতুল হওয়ায় অধিকাংশ বানভাসিরই মিলছে কোন ত্রাণ সহায়তা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি ১১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে আজ শুক্রবার সকাল ৬টায় তা শহর রক্ষাবাঁধের হার্ডপয়েন্টে বিপদসীমার ৭৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
চলমান বন্যা টানা এক মাসের বেশি সময় ধরে চলছে। এরই মধ্যে জেলার বন্যা কবলতি ৬টি উপজেলা সিরাজগঞ্জ সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, চৌহালী, শাহজাদপুর ও উল্লাপাড়ার অন্তত ২৫০ গ্রামের ৫৮ হাজারেরও বেশি পরিবারের প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।
প্রবল বন্যায় ভেঙে গেছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তরের শিমলা ও দক্ষিণের বেতিল স্পার। ডুবে গেছে বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, ক্ষেতের ফসল। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। গবাদিপশু, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, থাকা-খাওয়া নিয়ে চরম ভোগান্তিতে বানভাসিরা।
পানি যত বাড়ছে বিভিন্ন স্থানে ততোই তীব্র হচ্ছে নদী ভাঙন। বন্যা দুর্গত এলাকায় খাবার ও বিশুদ্ধ পানির চরম সঙ্কট দেখা দিয়েছে। সরকারি ত্রাণ অপ্রতুল হওয়ায় অনেক স্থানে বানভাসিরা ত্রাণ পাচ্ছেন না।
বিশেষ করে চরাঞ্চলের মানুষেরা দীর্ঘ ১ মাসের বেশি সময় ধরে নৌকায় ও ঘরের ভিতর পানির মধ্যে বসবাস করায় খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির চরম সঙ্কটে ভুগছেন।
জানতে চাইলে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক ডক্টর ফারুক আহম্মদ জানান, ‘বন্যার্তদের জন্য ২৬৭ মেট্রিক টন চাল, ৩ হাজার ৯৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার ছাড়াও শিশু খাদ্য ও গবাদি পশুর খাদ্যের জন্য দুই লাখ টাকা করে মোট চার লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’
এআই/এমবি
আরও পড়ুন