ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০৬ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

কালের সাক্ষী নাটোরের প্রাচীন গাছ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:৪২, ২৪ জুলাই ২০২০

Ekushey Television Ltd.

নাটোরের চলনবিলের দুর্গম দুলশী গ্রামে বিরল একটি প্রাচীন গাছ কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। গাছটির সঠিক জাত বা বয়স জানেন না কেউ-ই। প্রবীণরা বলছেন, প্রায় দুই থেকে তিনশ’ বছর বয়স হতে পারে গাছটির। 

সম্প্রতি গবেষক, বন বিভাগের কর্মকর্তাসহ পর্যটকদের আগমনে, স্থানীয়রা কৌতূহলী হয়ে উঠেছেন অচিন বৃক্ষটি নিয়ে। 

নাটোরের সিংড়া উপজেলার ১ নম্বর সুকাশ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাম দুলশী। প্রবেশমুখেই ভূমি থেকে প্রায় ১৫ থেকে ২০ ফুট উঁচুতে দাঁড়িয়ে প্রাচীন এই অচিন বৃক্ষ। উচ্চতা প্রায় ৫০ ফুট। আর চওড়া প্রায় ১৫০ বর্গ ফুট। গোড়া থেকে প্রাকৃতিক কারুকাজের শেকড় জড়িয়ে রয়েছে গাছটিতে। 

জৈষ্ঠ্য মাসে গাছটিতে ফল ধরে। দেখতে আঙ্গুর ফলের মত এবং পাকলে অত্যন্ত সুস্বাদু, স্বাদ অনেকটা খিরের মতো। স্থানীয়রা তাই গাছটির নাম দিয়েছেন খিরির গাছ। 

নাটোর জেলা সদর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে এই দুলশী গ্রাম। সম্প্রতি গাছটি দেখতে আসছেন অনেক দর্শনার্থী। 

বন বিভাগ জানে না গাছটি সঠিক কোন গোত্রের বা জাতের। তবে নরওয়ে প্রবাসী বৃক্ষ গবেষক ভয়লেট হালদার গাছটি ‘সফেদা’ জাতের বলে মন্তব্য করেছেন। 

স্থানীয় বৃদ্ধরাও এই গাছের বয়স সম্পর্কে বলতে পারেননি, এমন কি উনার দাদারাও বলতে পারেননি। 

নরওয়ে প্রবাসী বৃক্ষ গবেষক  ভয়লেট হালদার জানান, এই জাতীয় গাছ বাংলাদেশে ৪/৫ টি আছে তার মধ্যে প্রথম যেই বৃক্ষটার সন্ধান উনারা পান, সেটা নাটোরের সিংড়া উপজেলায়।

বিরল প্রাচীন এই গাছের বংশ বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে, জানিয়েছে বন বিভাগ। 

নাটোর বনবিভাগের ফরেস্টার সত্যেন্দ্রনাথ সরকার বলেন, এই প্রজাতীর বংশবিস্তারের চেষ্টা করবেন তারা

গাছটি সংরক্ষণ ও এলাকাটিকে পর্যটন কেন্দ্র করার কথা ভাবছে জেলা প্রশাসন। 

নাটোরের জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ বলেন, এই বৃক্ষটি দেখার জন্য বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ , এখানে আসতে পারবেন, এতে পর্যটনেরও বিকাশ ঘটবে।

অচিন এই গাছটির নিচে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে স্থাপন করা হয়েছে বৃক্ষ মানিক নামফলক।

এসএউএ/এমবি


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি