নওগাঁয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৮৫১
প্রকাশিত : ০০:১৬, ২৫ জুলাই ২০২০ | আপডেট: ০০:১৭, ২৫ জুলাই ২০২০
নওগাঁয় গত ১০ মার্চ থেকে এই পর্যন্ত মোট ১৩৬ দিনে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে ৮৫১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৫৮৪ জন পুরুষ ও ২৬৭ জন নারী। এর মধ্যে এই পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ৬৪৫ জন। আক্রান্তের দিক থেকে সুস্থতার হার শতকরা ৭৫.৪৯ ভাগ। আবার এ পর্যন্ত মারা গেছেন মোট ১৩ জন। আক্রান্তের দিক থেকেও মৃত্যুর হার কম রয়েছে। যা শতকরা মাত্র ১.৫২ ভাগ।
ইতিমধ্যে যারা সুস্থ হয়েছেন তাদের অধিকাংশই রোগী নিজ নিজ বাড়ি থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। আবার বয়সের দিক থেকে আক্রান্তদের মধ্যে ৬ দিনের নবজাতক থেকে ৯০ বছর বয়স্ক ব্যক্তি রয়েছেন।তবে সর্বোচ্চ আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ থেকে ৩৯ বছর বয়সী মানুষ এবং যা শতকরা ২৭.৩৭ ভাগ। এরপরে রয়েছেন ২০ থেকে ২৯ বছর বয়সী মানুষ,যা ২৩.৩৮ ভাগ। সর্বোনিম্ন আক্রান্ত হয়েছে যাদের বয়স ১ বছরের নীচে।
পরিসংখ্যানে দেখা যায় ২০ থেকে ৩৯ বছর বয়সী মানুষ সবচেয়ে বেশী আক্রান্ত হয়েছেন। যা মোট আক্রান্তে ৫০.৭৫ ভাগ এবং দ্বিতীয় স্থানে আছে ৪০-৫৯ বয়সী মানুষ, যা ৩২.৩০ ভাগ। এছাড়া ৪০ থেকে ৪৯ এবং ৫০ থেকে ৫৯ বছর বয়সী আক্রান্তদের সংখ্যা যথাক্রমে ১৩৮ এবং ১৩৭ জন।
জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মঞ্জুর ই মোর্শেদ বলেন যারা প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে বাড়ির বাইরে যাচ্ছেন তাদের সংক্রমনের হার সব চেয়ে বেশী এবং তাদের তাদের দ্বারা পরিবারের অন্য সদস্যরাও আক্রান্ত হচ্ছেন উল্লেখ করে আরো বলেন যারা শারীরিক পরিশ্রম করেন তাদের সংক্রমণের হার কিছুটা কম পরিলক্ষিত হচ্ছে।
এদিকে উপজেলা ওয়ারী করোনা আক্রান্তের দিক থেকে সর্বোচ্চ সদর উপজেলায় ৩০৯ জন, দ্বিতীয় সাপাহারে-১০১ জন ও সব চেয়ে কম আক্রান্ত আত্রাইয়ে মাত্র ২২ জন। যা সদরে শতকরা হার ৩৬.০৭ ভাগ, সাপাহাওে ১১.৮৬ ভাগ ও আত্রাইয়ে- ২.৪৬ ভাগ।
এদিকে সংক্রমন বেড়ে যাওযার কার হিসাবে জেলা সিভিল সার্জন ডা. আখন্দ মো. আখতারুজ্জামান আলাল বলেন বেশির ভাগ মানুষই সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়া এবং স্যানিটাইজার ও মাস্ক ব্যবহারে সঠিক পদ্ধতি ব্যবহার না করা এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে না চলা মানুষেরা সবচেয়ে বেশী আক্রান্ত হচ্ছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, করোনা সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে সকল স্বাস্থ্য বিধি মেনে,সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে। এমন কি নিজের ব্যক্তিগত ব্যবহৃত মোবাইলসহ অন্যান্য বস্তু ভাল করে জীবানুমুক্ত রাখতে হবে। মুখমন্ডলে হাত দেবার অভ্যাস পরিহার করতে হবে, ভিটামিন যুক্ত খাবার খাওয়াসহ দেশি ফলমূল বেশি পরিমানে ভাল করে ধুয়ে খাওযার পরামর্শ দেন এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। এছাড়া বাড়ির উঠানে বা ছাদে ঘুরাফেরাসহ নিয়মিত শরীরে রোদ লাগাতে হবে এবং সবচেয়ে বেশি মনের সুস্থতার দিকে সঠিকভাবে যত্ন নিতে পারলেই আমরা করোনা সংক্রমণ টেকাতে সম্ভব হবো।
এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় একজন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তাসহ নতুন করে আরও ৭ ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে নওগাঁ সদর উপজেলায় ৫ জন, রানীনগর উপজেলায় ১ জন এবং বদলগাছি উপজেলায় ১ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৮৫১ জন-এ।
গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় ৪২ জনকে হোম কোয়ারেনটাইনে নেয়া হয়েছে। এদেরে মধ্যে সদর উপজেলায় ১৪ জন, রানীনগর উপজেলায় ১ জন, মহাদেবপুর উপজেলায় ৯ জন, বদলগাছি উপজেলায় ৫ জন এবং পত্নীতলা উপজেলায় ১৩ জন। এ সময় কোয়ারেনটাইন থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ৮০ জনকে। বর্তমানে কোয়ারেনটাইনে আছেন ১১৪২ জন।
কেআই/
আরও পড়ুন