নারী আইনজীবীকে ধর্ষণের অভিযোগে চিকিৎসক গ্রেফতার
প্রকাশিত : ১৭:২২, ২৫ জুলাই ২০২০ | আপডেট: ১৭:২৫, ২৫ জুলাই ২০২০
রাজশাহীতে নারী আইনজীবীকে (২৭) ধর্ষণের অভিযোগে এক চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে কৌশলে ধর্ষণ করে ভিডিও চিত্র ধারণ করে ওই চিকিৎসক। ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে প্রায় দেড় বছর ধরে ধর্ষণ করে আসছে বলে ওই নারী আইনজীবী থানায় অভিযোগ করেছেন।
শনিবার দুপুরে পুলিশ অভিযুক্ত চিকিৎসককে গ্রেফতার করে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস।
গ্রেফতার ওই চিকিৎসকের নাম সাখাওয়াত হোসেন রানা (৪০)। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ। ডা. রানার স্ত্রী-সন্তান রয়েছে। তার গ্রামের বাড়ি নওগাঁর পোরশা উপজেলায়। রাজশাহী নগরীর টিকাপাড়া এলাকায় তিনি ভাড়া থাকেন।
অপরদিকে, ধর্ষণের শিকার নারী আইনজীবী অবিবাহিত। তার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায়। তিনি বান্ধবীর সঙ্গে ভাড়া থাকেন নগরীর কোর্ট এলাকায় মহিষবাথান খাদ্য অফিসের পিছনে। তিনি রাজশাহী জেলা জজ আদালতে শিক্ষানবীশ আইনজীবী হিসেবে প্র্যাকটিস করেন।
গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান,ওই নারীর অভিযোগ, প্রায় দেড় বছর আগে ডা. রানার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। কিছু দিনের মধ্যেই ডা. রানা তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর একদিন কৌশলে তাকে ধর্ষণ করেন এবং সেই ভিডিও চিত্র ধারণ করে রাখেন। তারপর সেই ভিডিও চিত্র ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে দেড় বছর ধরে তাকে ধর্ষণ করা হচ্ছিল।
ওই নারীর বরাত দিয়ে আরএমপির মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস আরও জানান, শনিবার দুপুরে ডা. রানা ওই নারীর ভাড়া বাসায় গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় ওই নারীর বান্ধবী পুলিশের জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে কল দেন। এছাড়া তিনি আশপাশের লোকজনকে বিষয়টি জানান। তখন এলাকাবাসী ওই চিকিৎসককে আটকে রাখেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে গ্রেফতার করে রাজপাড়া থানায় নিয়ে যায়। সেই সঙ্গে ভুক্তভোগী ওই নারীকেও থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
রাজপাড়া থানার ওসি শাহাদাত হোসেন খান বলেন, কিছু ভিডিও চিত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তবে চিকিৎসক দাবি করছেন, জোর করে নয়। প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ ঘটনায় থানায় ধর্ষণের মামলা হবে। মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত চিকিৎসককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
কেআই/
আরও পড়ুন