ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৪ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

পাবনায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৮২২ 

পাবনা  প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৭:৩৭, ২৬ জুলাই ২০২০

Ekushey Television Ltd.

পাবনায় করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ধীরে ধীরে ভয়ানক রুপ ধারণ করছে। প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্ত রোগির সংখ্যা। মাঝে কিছুদিন নমুনা পরীক্ষা বন্ধ থাকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল না। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন আক্রান্ত হয়েছে আরও ৭৬ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত পাবনায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮২২ জন।  

নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ২১ জন পাবনা সদরে, ১৫ জন ইশ্বরদী , ১ জন চাটমোহর, সুজানগর ১১ জন, বেড়া ৪ জন, সাঁথিয়া ১৩ জন, ফরিদপুর ১ জন এবং ১০ জন আটঘোরিয়া উপজেলার বাসিন্দা এই ৭৬ জন নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো  ৮২২ জন।  

জেলায় সদর উপজেলা  করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় শীর্ষে অবস্থান এখানে আক্রান্ত ৩৮০ জন। দ্বিতীয় অবস্থানে ইশ্বরদী এখানে আক্রান্ত ১৫৫ জন। এ ছাড়া সুজানগরে ৯৬ জন, আটঘরিয়ায় ৪০ জন  ভাঙ্গুড়ায় ৩০ জন, চাটমোহরে ৩০ জন, সাঁথিয়ায় ৫৯ জন, ফরিদপুরে ১৩ এবং বেড়ায় ১৮ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন।  

করোনার লক্ষন না থাকলে নমুনা নেয়া হচ্ছে না আবার যারা আক্রান্ত ছিল তাদের দ্বিতীয় বার পরীক্ষার বিষয়ে অনেকটা অনীহা প্রকাশ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুরোনো জেলা শহর হওয়া শর্তেও এখানে বসানো হয়নি করোনা পরীক্ষার পিসিআর ল্যাব। নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহী অথবা ঢাকা অথবা আশপাশে অন্য জেলার ল্যাব কতৃপক্ষের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয় ফলাফলের জন্য

কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে মানুষের স্বাস্থ্যবিধি না মেনে দোকান পাটে অবাধ চলাচলে পাাবনায় করোনা মহামারি আকারে ছড়িয়ে পরতে পারে বলে অনেকেই ধারনা করছে। বিশেষ করে কোরবানীর হাটে কোন স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছেনা। আর কোরনার টেষ্টের পাবনায় পিসিআর ল্যাব না থাকায় সাধারন মানুষের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। জেলার নয় উপজেলা থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পাঠাতে হচ্ছে রাজশাহী অথবা ঢাকা। এতে ফলাফল পেতেও বিলম্ব হচ্ছে। বিশেষ করে নমুনা দেয়ার পর ফলাফল পেতে সময় লাগছে পাঁচ থেকে পনের দিন পর্যন্ত। আর এই ফলাফল আসতে বিলম্ব হওয়ায় নমুনা দেয়া ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত কি না স্বল্প সময়ে জানতে পারছে না। এতে আরও ছড়িয়ে পড়ছে প্রাণঘাতি এই ভাইরাস।

সিভিল সার্জন অফিস জানান, আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে এ পর্যন্ত ৩৩৭ জন সুস্থ হয়েছেন। আক্রান্ত সবাইকে  আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১৮ জন। সবারই শারীরিক অবস্থা বুঝে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে । এ পর্যন্ত পাবনায় করোনায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত ১৬ এপ্রিল। এরপর আজ জেলায় ৮২২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হলো।

পাবনা সিভিল সার্জন অফিসের ডা. আব্দুর রহিম বলেন, প্রথমদিকে আমাদের নমুনা পাঠানোর একদিনের মধ্যে পরীক্ষা হয়েছে। দিনে দিনে সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ফলাফল আসতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। জেলায় ল্যাব হলে বেশি বেশি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা সম্ভব হবে।

জেলা প্রশাসক কবির মাহমুদ জানান, কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে আমরা হাটে বাজারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলারজন্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। চেষ্টা করছি একটি পিসিআর ল্যাব স্থাপনের ব্যাপারে।
কেআই/


 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি