ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

এশিয়ান হাইওয়ে ৬ লেন করাসহ ৪ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৭:৫৬, ২৭ জুলাই ২০২০ | আপডেট: ১৭:৫৭, ২৭ জুলাই ২০২০

বেনাপোল-যশোর এশিয়ান হাইওয়ে মহাসড়ক ৬ লেন উন্নতিকরন, সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ গাছ কেটে নতুন গাছ রোপন, নির্মানাধীন সড়কের কাজ দ্রুত শেষ করাসহ ৫ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন। তাদের দাবি-দাওয়া পুরনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। 

সোমবার দুপুরে অ্যাসোসিয়েশনে মিলনায়তনে সড়কের পাশে ঝুঁকিপূর্ণ গাছ কেটে ৬ লেন করার দাবিসহ ৫ দফা দাবি তুলে ধরেন সংগঠনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন। 

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বৃটিশ ভারতের প্রথম জেলা যশোর। মুক্তিযুদ্ধের প্রথম স্বাধীন জেলা যশোর। আর যশোরকে আরও সমৃদ্ধ করেছে উপমহাদেশের অন্যতম বৃহৎ স্থলবন্দর ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম ঐতিহাসিক স্থান এই বেনাপোল। ১৯৭৪ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এখানে এসে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরকে একটি আধুনিক বন্দরে পরিনত করার স্বপ্ন দেখেছিলেন। 
ভারতের সাথে অসম বাণিজ্যে বেনাপোল বন্দরের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

প্রতিবছর দেশের সিংহভাগ শিল্প কলকারখানা ও গার্মেন্টস ইন্ডাষ্ট্রির মালামাল আমদানি হয় এই বন্দর দিয়ে এবং সার্বিকভাবে এখানে ৩০ হাজার কোটি টাকার মালামাল আমদানি-রফতানি হয় এবং ৫ হাজার ৫’শ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়ে থাকে। দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে ভারতে সাথে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য। তাতে গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়কটি ৬ লেন করা না হলে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে প্রতিবন্ধকতা সৃস্টি হচ্ছে। 

ইতিমধ্যে এ বন্দরটি এশিয়ান হাইওয়ের সাথে সংযুক্ত হয়েছে এবং ৪ দেশীয় ট্রানজিট করিডোর এই বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর। ভারতের কোলকাতা থেকে বেনাপোল অত্যন্ত সন্নিকটে বিধায় কম সময়ে এ বন্দর দিয়ে মালামাল আমদানি করা সম্ভব। প্রতিদিন এই পথে ৮/১০ হাজার পাসপোর্টযাত্রী ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াত করে থাকে। দু-দেশের প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবির কথা বিবেচনা করে কোলকাতা-বেনাপোল-খুলনা রুটে সরাসরি যাত্রীবাহী ট্রেন চালু হয়েছে। আন্ত:দেশীয় ঐতিহাসিক ট্রানজিট চুক্তি বাস্তবায়ন হয়েছে বেনাপোল বন্দর দিয়ে।

অবিলম্বে বেনাপোল-যশোর মহাসড়কের পাশে ২’শ বছরের ঝুঁকিপূর্ণ গাছ কেটে ফেলা প্রয়োজন। এ সড়কের পাশে অধিকাংশ গাছের মেয়াদ নেই, গাছের শেকর নষ্ট হয়ে ও ডালপালা সড়কের ওপর ঝুঁকে থাকায় বাধাগ্রস্থ হচ্ছে বন্দর থেকে পণ্য পরিবহনে। তাছাড়া এ মহাসড়কের নির্মাণ কাজ সঠিক ম্যাপ অনুযায়ী করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করা হয়। বন্দরে বাইপাস সড়ক প্রশস্তকরণ, বেনাপোলে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট একটি হাসপাতাল নির্মাণ করার জোর দাবি জানানো হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও এসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ সভাপতি আলহাজ্ব নুরুজ্জামান, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মহসিন মিলন, কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব নাছির উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক মেহেদী হাসান, আলমগীর সিদ্দিকী, আাব্দুল লতিফ ও সাজজদুল ইসলাম সৌরভ। দাবি আদায় না হলে ঈদের পর আন্দালনে যাওয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। 
কেআই/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি