অবশেষে নির্দোষ প্রমাণিত সেই তিন সাংবাদিক
প্রকাশিত : ১৯:০৪, ৩০ জুলাই ২০২০
ঝালকাঠিতে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে কুচক্রীদের সাজানো প্রতিহিংসামূলক ফিটিং মামলার শিকার তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দেয়া মিথ্যা অভিযোগ অবশেষে পুলিশী তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। গত ২৪ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক মো: গাউছুল আযম তদন্ত শেষে দাখিলকৃত পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত চূড়ান্ত রিপোর্টে এ তথ্য পাওয়া যায়।
ঘটনার শিকার তিন সাংবাদিক জানান, তারা ঝালকাঠিতে দীর্ঘদিন যাবত সুনামের সাথে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক ও সম্প্রতি করোনাকালীন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমাজে সচেতনতাসহ নানা কর্মকান্ড তুলে ধরেন। এতে সরকার বিরোধী রাজনীতিতে জড়িত এক কুচক্রী ও তার সহযোগী কয়েক সাংবাদিকের একটি চক্র ঈর্ষাণ্বিত হয়ে বেশ কিছুদিন যাবত তাদেরকে হয়রানী করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। এরই ধারাবাহিকতায় মামলাবাজ হিসাবে চিহ্নিত ওই সাংবাদিক নির্যাতনকারী চক্রটি পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তিন সাংবাদিককে ফাঁসাতে গত ৩০ মার্চ জনৈক ব্যক্তিকে ফোন করে ডেকে নিয়ে কতিপয় সন্ত্রাসীর সহযোগীতায় অতর্কিত হামলা করে এবং তিন সাংবাদিককেই শারীরিক নির্যাতন করে। পরে ঐ মামলাবাজ চক্রটি নিজেদের পিঠ বাঁচাতে স্থানীয় কামাল হোসেনকে ব্যবহার করে জোরপূর্বক ঝালকাঠি সদর থানায় চাঁদাবাজির কাহিনী রটিয়ে অভিযোগ দায়ের করায়।
এতে বিএমএসএফ সদস্য দৈনিক আমাদের বরিশালের জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক মো: বশির আহাম্মদ খলিফা, আলোকিত বাংলাদেশ ও মোহনা টেলিভিশনের মো: রুহুল আমীন রুবেল এবং বিএমএসএফ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক দৈনিক আজকের পরিবর্তনের জেলা প্রতিনিধি উপাধ্যক্ষ রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু’র নাম অন্তর্ভুক্ত করায়। এরপর শুরু হয় মামলার তদন্ত। ইতিমধ্যে মামলার বাদীও তার ভুল বুঝতে পেরে অনুশোচনা করেন।
পরবর্তীতে স্থানীয়দের মাধ্যমে নিজেদের ভুল বোঝাবুঝির সমাপ্তি ঘটলেও ঘটনাটি যে, উদ্দেশ্যমূলকভাবে মামলাবাজ চক্রটি করিয়েছে তা প্রমাণিত হয়।
অপরদিকে গত ৩১ মার্চ মামলা রুজুর পর ঝালকাঠি পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ও সদর থানার ওসির নেতৃত্বে সঠিক তদন্তের নির্দেশ দিলে ঝালকাঠির থানার উপ পরিদর্শক মো: গাউছুল আযম দীর্ঘ তদন্তে মামলার বিষয়ে কোন সত্যতা না পেয়ে চূড়ান্ত রিপোর্ট আদালতে দাখিল করেন। যাতে তিন সাংবাদিকই নিরাপরাধ প্রমাণিত হয়।
এ বিষয়ে বিএমএস সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু জানান, পেশাগত দায়িত্ব ও সংগঠন নিয়ে ঝালকাঠির অপর এক সাংবাদিক সংগঠনের এক এডভোকেটর সাথে আমাদের পেশাগত দ্বন্দ্ব থাকায় তার রোষানলে পড়ি। সে ও তার অনুগত কয়েক চাটুকর আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলাটি দায়ের করায়। যা পুলিশের সঠিক তদন্তে বেরিয়ে এসেছে।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক মো: গাউছুল আযম বলেন, বাদীর আনিত অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করেছি।
এনএস/
আরও পড়ুন