ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৫ নভেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রাম সিটির প্রশাসক হলেন আ.লীগ নেতা সুজন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:০৭, ৪ আগস্ট ২০২০

মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন

মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন

মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন করতে না পারায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। 

এই পদে নিয়োগ পেয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন। নতুন মেয়র নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব পালন করবেন।

মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে একথা জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

মন্ত্রী বলেন, আগামীকাল ৫ আগস্ট চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়রের মেয়াদ শেষ হবে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে নতুন নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব না হওয়ায় সেখানে প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়।

তাজুল ইসলাম বলেন, প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিতে বেশ কয়েকজনের নাম প্রস্তাব করা হলে চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. খোরশেদ আলমকে নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামীকাল তাকে যোগদান করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এদিকে আগামীকাল বুধবার (৫ আগস্ট) চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের শেষ কর্মদিবস। নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নিতে হচ্ছে তাকে।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল ২৯ মার্চ। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ায় নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব নয় জানিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগে চিঠি দেয় কমিশন।

সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত মেয়র-কাউন্সিলররা প্রথম সভা থেকে পাঁচ বছর মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন। সেই হিসেবে ৫ আগস্ট শেষ হবে আ জ ম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন করপোরেশনের মেয়াদ।

স্থগিত হওয়া চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন। এছাড়া সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলরের ৫৫ পদে ২৬৯ প্রার্থী রয়েছেন ভোটে।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে প্রশাসক বসানো হলেও সুবিধাজনক সময়ে মন্ত্রণালয় অনুরোধ করলে নির্বাচন কমিশন ভোটের তারিখ নির্ধারণ করবে। সেক্ষেত্রে বর্তমান প্রার্থীরাই বহাল থাকবেন এবং যেখানে ভোট স্থগিত হয়েছিল সে অবস্থা থেকে নির্বাচন হবে।

তবে মৃত্যজনিত যেসব পদ এর মধ্যে শূন্য হবে সে বিষয়ে কমিশন তখন সিদ্ধান্ত নেবে বলে ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছে।

মেয়র প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের এম রেজাউল করিম চৌধুরী (নৌকা), বিএনপির শাহাদাত হোসেন (ধানের শীষ), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এমএ মতিন (মিনার), এনপিপির আবুল মনজুর (আম), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ (চেয়ার), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জান্নাতুল ইসলাম (হাতপাখা) ও স্বতন্ত্র খোকন চৌধুরী (হাতি)।

স্থানীয় সরকারের সিটি করপোরেশন আইন-২০০৯ তে বলা হয়েছে- মেয়াদ উত্তীর্ণ সিটি করপোরেশনে সরকার চাইলে প্রশাসক ও সদস্যদের নিয়োগ দেবে। তারা মেয়র ও কাউন্সিলরদের দায়িত্ব পালন করবেন। তবে প্রশাসক একাধিকবার বা ১৮০ দিনের বেশি সময়কাল দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না বলেও আইনে আছে।

এমবি//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি