নওগাঁয় চিকিৎসকসহ একই পরিবারের ৩ জন আক্রান্ত
প্রকাশিত : ০০:৪৩, ১০ আগস্ট ২০২০ | আপডেট: ০০:৪৩, ১০ আগস্ট ২০২০
নওগাঁয় গত ২৪ ঘণ্টায় এক চিকিৎসক ও একই পরিবারের তিনজনসহ নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনাআক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ছাড়লো।
জেলায় বর্তমানে কোভিড-১৯ এর রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ২ জনে। নতুন শনাক্তদের মধ্যে নওগাঁ সদর উপজেলার ৬ জন এবং মহাদেবপুর উপজেলার ৩ জন রয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৩ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ ৮৫২ জন। আবার আক্রান্তের দিক থেকে সুস্থতা হার শতকরা ৮৫ ভাগ। এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১৪ জন।
রোববার দুপুরে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন নওগাঁর সিভিল সার্জন ডাঃ আকন্দ মো. আখতারুজ্জামান আলাল। এদিকে জেলায় নমুনা সংগ্রহের হার কমেছে। এতে করে জেলায় করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রনে বড় ধরনের জটিলা সৃষ্ঠির আশংকা করছেন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি অ্যান্ড মেডিসিন রিসার্চ সেন্টার ল্যাবে নওগাঁ থেকে পাঠানো ৫৮টি নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন গতকাল শনিবার রাতে পৌঁছায়। এরমধ্যে ৯ জনের প্রতিবেদনে করোনা পজিটিভ এসেছে। নতুন শনাক্তদের মধ্যে নওগাঁ সদর উপজেলায় একজন চিকিৎসক ও একই পরিবারের ৩ জনসহ ৬ জন এবং মহাদেবপুর উপজেলায় ৩ জন আছেন।
এদিকে নওগাঁয় করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ কমে অর্ধেকের নিচে নেমেছে। গত জুলাই মাসে ৩১ দিনে জেলায় নমুনা সংগ্রহ করা হয় ২ হাজার ৭৫০ জনের। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে ৮৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। কিন্তু চলতি মাসে গতকাল শনিবার পর্যন্ত (৮ দিনে) নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ২৫৮ জনের। অর্থাৎ গড়ে প্রতিদিন ৩২ জনের নমুনা সংগ্রহ হয়েছে।
গত ২৩ এপ্রিল নওগাঁর রানীনগরে প্রথম একজনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। নওগাঁ থেকে পাঠানো ৮ হাজার ৭৬টি নমুনা পরীক্ষায় ১ হাজার দুজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় হোম কোয়ারেনটাইনে নেয়া হয়েছে ৫০ জনকে। এদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৩০ জন, মান্দা উপজেলায় ৫ জন এবং পত্নিতলা উপজেলায় ১৫ জন। এ সময় জেলায় কোয়ারেনটাইন থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ১১২ জনকে। বর্তমানে কোয়ারেনটাইনে রয়েছেন ৮৭১ জন। বর্তমানে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ছয় জন নওগাঁর বিভিন্ন হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বাকিরা বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সিভিল সার্জন ডাঃ আকন্দ মো. আখতারুজ্জামান বলেন, বেশ কিছু কারণে নমুনা সংগ্রহ কমেছে। আগে সংক্রমণের ১৪ দিন পর ফলো আপ নমুনা সংগ্রহ করা হতো, এখন সেটি নেওয়া হচ্ছে না। ফি নির্ধারণের কারণেও নমুনা সংগ্রহ কমেছে। এ ছাড়া ধারণা করা হচ্ছে, সচেতনতার অভাবে উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও অনেক মানুষ করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দিচ্ছেন না । এতে এক প্রকার তথ্য গোপন থাকছে,যা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বড় ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
কে আই//
আরও পড়ুন