ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বংশীখাল পুনঃখননে ১০ হাজার কৃষক সেচ সুবিধা পাবে (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:১৫, ১০ আগস্ট ২০২০ | আপডেট: ১৪:১৮, ১০ আগস্ট ২০২০

জামালপুরের বংশীখালের ২৪ কিলোমিটার পুনঃখননের কাজ শেষ হয়েছে। ফলে ৬ শত হেক্টর জমি সেচ সুবিধার আওতায় আসবে। আর এতে সেচ সুবিধা পাবে দুই ইউনিয়নের ১০ হাজার কৃষক। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খালে জলের ধারা ফিরে আসায় মাছের প্রজনন ও পরিবেশের উন্নয়ন হবে। 

জানা যায়, স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে ৮ কোটি ৪২ লাখ টাকা ব্যয়ে জামালপুর সদর উপজেলার বংশী খাল খননের উদ্যোগ নেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে শুরু হয় খাল খননের কাজ। দিগপাইত ইউনিয়নে সাউনিয়া ঈদগা মাঠ থেকে রশিদপুর ইউনিয়নের শেখপাড়া কয়ডা নদী পর্যন্ত এই খাল খননের কাজ শেষ হয়। ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ খালটি ৫০ ফুট চওড়া এবং ৭ ফুট গভীর করে খনন করা হয়েছে। এরই মধ্যে পানির প্রবাহ বাড়তে শুরু করেছে খালটিতে। হাসি ফুটেছে এলাকার কৃষকের মুখে। 

স্থানীয়রা বলছেন, আগে বৃষ্টি হলে মাঠে জলাবদ্ধতা হতো এবং উত্তরের পাহাড়ী ঢলের পানি এসে এলাকা প্লাবিত করতো। তাতে ফসলের অনেক ক্ষতি হতো, পুকুরের মাছের ক্ষতি হতো মাছ ভেসে যেতো। এখন নদী খননের ফলে এগুলো হচ্ছে না। অন্য আরেক জানান, খালটা খনন করার ফলে নদী থেকে পানি আসে আবার নদীতে যায়, তার ফলে আমাদের কোন ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে না। এই খালের পানি পেলে আবাদে সুবিধা হবে এবং সেচেও সুবিধা হবে।

বংশী খালের নাব্যতা ফিরে আসায় জমির সেচ সুবিধাসহ মাছ চাষের সুবিধা পাবেন এলাকাবাসী বললেন জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা। জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু সাইদ জানান, সদরের দিগপাইত এবং রশিদপুর ইউনিয়নের প্রায় ৬শ’ হেক্টর জমি খাল পুনঃখনের মাধ্যমে সেচের আওতায় 
আসবে। পাশাপাশি মৎস্য ও বৈচিত্র্য উন্নয়ন সম্ভব হবে এবং সর্বোপরি মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব হবে। সরকারের এই প্রকল্প বাস্তবায়নে বংশী খালের নাব্যতা ফিরে আসায় এলাকার ১০ হাজার কৃষকের জীবনযাত্রায় আসবে আমূল পরিবর্তন এমনটি মনে করছেন সবাই।

এএইচ/এমএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি