ঢাকা, রবিবার   ০৩ নভেম্বর ২০২৪

সিনহা হত্যা: চার পুলিশ ও তিন সাক্ষীর ৭ দিনের রিমান্ড 

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৩:১৬, ১২ আগস্ট ২০২০ | আপডেট: ১৩:২১, ১২ আগস্ট ২০২০

কক্সবাজারের টেকনাফে সিনহা হত্যা মামলায় চার পুলিশ সদস্য ও পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন সাক্ষীর প্রত্যেককে ৭ দিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে আদালত সিনহা হত্যা মামলায় ওসি প্রদীপসহ তিন আসামিকে ৭ দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছিলেন। বাকি চার পুলিশ সদস্যদের দুদিন করে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে গত সোমবার নতুন করে ১০ দিনের রিমান্ডের জন্য আদালতে আবেদন করেছিলেন। 

একইভাবে গতকাল মঙ্গলবার পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন সাক্ষীকে গ্রেফতারের পর আদালতে হাজির করে তাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। এ দুটি আবেদনের শুনানি ছিল আজ বুধবার। আদালত আবেদন শুনানি শেষে প্রত্যেকের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার আদালতের পুলিশ পরিদর্শক প্রদীপ কুমার দাশ জানান, ‘টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সংঘটিত ঘটনায় নিহত মেজর সিনহা হত্যা মামলার আসামি তিন কনস্টেবল সাফানুল করিম,  কামাল হোসেন, মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সহকারী উপপরিদর্শক লিটন মিয়াকে ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন  আদালত। একই সাথে পুলিশের দায়ের করা মামলায় তিন সাক্ষী মো. আয়াছ, নুরুল আমিন ও নাজিম উদ্দিনকেও ৭ দিন করে রিমান্ড দেয়া হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই রাত ১০টার দিকে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

৫ আগস্ট ওসি প্রদীপ ও দায়িত্বরত পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ জনকে আসামি করে সিনহার বোন কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ৯ পুলিশ সদস্যকেই বরখাস্ত করা হয়। 

মামলাটি তদন্ত করছে কক্সবাজার র‌্যাব-১৫। ওই মামলায় ওসি প্রদীপসহ ৩ জনকে ৭ দিনের রিমান্ড ও অন্য আসামিদের দুদিন করে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন আদালত। ওসি প্রদীপসহ ৭ আসামি এখনও কারাগারে রয়েছে। 

একই ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় ৯ আগস্ট সিনহার সহযোগী শিপ্রা দেবনাথ ও ১০ আগস্ট সাহেদুল ইসলাম সিফাত জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পান। 

এআই//এমবি


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি