ঢাকা, রবিবার   ০৩ নভেম্বর ২০২৪

আখাউড়া থানার এক এসআইকে প্রত্যাহার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ২০:৫৮, ১৩ আগস্ট ২০২০

ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থানার এসআই মতিউর রহমানকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এসপি মোহাম্মদ আনিসুর রহমান বৃহস্পতিবার বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, কাউকে ক্লোজড করা হয়নি। এসআই মতিউরকে দায়িত্ব পালনের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আনা হয়েছে। বিকেল নাগাদ আদালতের কোনো কাগজপত্র পাইনি। যে কারণে কোনো পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে সেটা অফিসিয়ালি বলার সুযোগ নেই। এছাড়া যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাদের মধ্যে তিনজন অন্যত্র বদলি হয়ে গেছেন। একজন অসুস্থতার কারণে ছুটিতে আছেন। এ অবস্থায় কাগজপত্র না দেখে কোনো ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না। 

গতকাল বুধবার আখাউড়া পৌর এলাকার মসজিদ পাড়ার হারুন মিয়া নামে এক ব্যক্তি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঁচ পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আদালত ইন্সপেক্টরের নিচে নয়, এমন কাউকে দিয়ে তদন্ত করে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য এসপিকে নির্দেশ দেন। 

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, আখাউড়ার পৌর এলাকার মসজিদ পাড়ার বাসিন্দা হারুনের প্রতিবেশী হাসিনা বেগম চিকুনী ও তার মেয়ে তানিয়া এবং তানজিনার সঙ্গে যোগসাজশে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা মাদক ব্যবসা করে আসছে। হারুন মিয়া এতে বাধা দিলে চিকুনী ক্ষুদ্ধ হয়ে পুলিশ সদস্যদের তাদের পেছনে লাগিয়ে দেন।  

গত ২৬ মে রাতে অভিযুক্ত পাঁচ পুলিশ সদস্য এসআই মতিউর রহমান, হুমায়ুন কবির, এসএসআই মো. খোরশেদ, কনস্টেবল প্রশান্ত, সৈকত নাটকীয়ভাবে চিকুনী বেগমকে গ্রেফতার দেখিয়ে তার প্ররোচনায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে ওই পুলিশ সদস্যরা হারুনের বাড়িতে প্রবেশ করে তল্লাশির নামে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। 

এ সময় ক্রসফায়ার ও হত্যার ভয় দেখিয়ে ঘরে থাকা নগদ ৪০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ ছাড়াও তারা ঘরের আসবাবপত্র তছনছ করে ফেলে। পরবর্তীতে ওই দিন ভোর চারটার দিকে পুনরায় ওই পুলিশ সদস্যারা এসে হারুন ও তার স্ত্রীকে মিথ্যা মাদক মামলা ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ভয় দেখিয়ে তাদেরকে আটক করে এক লাখ টাকা দাবি করে।  

অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়ে রফা হলে হারুন ও তার স্ত্রী ছাড়া পান। বিষয়টি অফিসারদের জানালে হারুনকে ক্রসফায়ার দেয়া হবে বলে হুমকি দেয়া হয়। তবে অভিযুক্তদের মধ্যে এসআই মতিউর রহমান এসব বিষয়ে পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন। 

তিনি জানান, টাকা নেয়া তো দূরের কথা হারুন মিয়ার বাড়িতে গেছেন এমন প্রমাণ থাকলে যে কোনো শাস্তি মাথা পেতে নেবেন। মূলত পাওনা টাকা দিতে এক ব্যক্তিকে চাপ দেয়ায় তার প্ররোচণায় এ অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
কেআই//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি